কন্যা তুমি অন্তরীণ থাকো–
তোমার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে–
তুমি এখন কড়া নজরদারিতে আছো–
চাইলেই পারোনা ইচ্ছে পূরণ করতে
তুমি আছো রান্না ঘরের ফ্রিজ, ওভেন
বা ডিশওয়াশারের মতো বস্তু হয়ে।
তোমার প্রাণখোলা হাসিতে নিষেধাজ্ঞা
তোমার চলনসীমা নিয়ন্ত্রিত —
যদিও সামাজিক অনুষ্ঠানে তোমার কদর বেশ
লোক দেখানো ঐ মেহফিলে প্রসাধন চর্চিত
জড়োয়ায় আচ্ছাদিত তোমায় দেখে বিব্রত হই।
জানি তুমি ঘরে ফিরে আবারো, আসবাব তৈজসের অংশ হয়ে যাবে–
তোমার স্বাধীন সত্তা কতটুকু আছে তাও আমার জানা।
যখন তোমার চোখের দিকে তাকাই
তখনই বুঝে নিতে পারি সব–
তোমার হৃদয়ের স্নেহ, মমতা, ভালোবাসার
আকুতিটা দেখি–
তোমার হৃদয়ের ক্ষরণ দেখি–
দেখি দগ্ধ হৃদয়ের সব যন্ত্রণা —
দেখা ছাড়া আর কি করতে পারি বলো!
নিজেকে নিজে মুক্ত করতে না পারলে
আর কার আছে শক্তি ঐ অচলায়তন ভাঙবে?
তাই ঐ তথাকথিত কন্যা দিবসের আদিখ্যেতায় নীরবে মুচকি হাসি–