সারাদিন কর্ম ক্লান্তির অবসরে ইষৎ পাহাড়ি ঢালু পথে
তোমার উষ্ণতায় আর্দ্র হই, হৃদয় হাঁটে সবুজ ঘাসের পরতে পরতে।
রচে যায় সমকালীন আনন্দ বেদনার ছন্দের উপাখ্যান ।
অতীত ভূগর্ভে শিলাস্তরের বিচ্যুতির গড়নে নিশ্চিত যেন পরমাত্মা টলটলে নোনা জলে শিকড় গেঁড়ে বসে।
তখন কবিতারা হয়ে পড়ে যেন উদ্বাস্তু। কবিতার বুকে একঝলক শুয়ে পড়ি ক্লান্ত পথিক আমি।
বেদনার্ত মাঝরাত নীল অবয়বে হুতোম প্যাঁচার ডাকে অশরীরী ছায়ায় ভেসে আসে কবিতার অনুপ্রাস।
আর কথামাল্যের নিপুণ কারিগরের বুননে স্পর্শিয়া গেরুয়া ধূসররঙের পাঁশুটে
হলদেটে মাখনরঙা ঝলমলে রোদ্দুর্র চিরে ছুটে কবিতা গন্তব্যের খোঁজে।
সে হয়তো প্রসন্নতায় শহর, নগর কিংবা গাঁয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে চলে জীবন আঁকা মানুষের অন্দরমহলে।
মন্দুরা বেথুয়া সমীরণে আলগা হয় কবিতার যৌবন।
এলো চুলে আঁচড়ে পড়ে সিংহল সমুদ্র কবির কবিতার বুকে।
মুহূর্তেই চষে বেড়ায় অতল গহ্বরে, তলিয়ে যায় ভালোবাসার নিবিড়তায়।
শেষ পরিণতিতে বিদ্রোহীদের শব্দের মিছিলে
কবি আর কবিতা হয়ে ওঠে অমরত্বের ধূপগন্ধী শিখা।