Site icon Shaili Tv

‘চট্টগ্রামে সাহিত্য সম্মাননা ও পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি কামাল চৌধুরীর ভাষণ

পুরস্কার বা সম্মাননা বিষয়ে পাবলো নেরুদা তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘আমি জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি। প্রজাপতির ক্ষণস্থায়ী জীবনের মতো এই সব পুরস্কার।’ আমি ভাবি পুরস্কারের গুরুত্ব কি আসলেই নেরুদা কথিত মতে ক্ষণস্থায়ী? নেরুদা জনগণের ভালোবাসাকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার হিসাবে গণ্য করে এ কথাগুলি বলেছিলেন– কিন্তু তারপরও আমার মনে হয় এ নিয়ে ভাববার অবকাশ আছে। সন্দেহ নেই পুরস্কার একধরনের স্বীকৃতি – কিন্তু এই স্বীকৃতিই কি যথেষ্ট? আমি মনে করি এসবের বাইরেও পুরস্কারের একটা সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য আছে। যেমন ধরুন, আমরা জ্ঞান অর্জনের কথা বলি– বলি Knowledge is power জ্ঞান কি আসলেই শক্তি? জ্ঞানকে যদি আমরা ব্যবহার না করি – তাহলে জ্ঞান কীভাবে শক্তি হবে? সে জায়গায় জ্ঞান হচ্ছে Potential power বা সামর্থ্যশক্তি–অর্থাৎ জ্ঞানের সামর্থ্য আছে ক্ষমতা হয়ে ওঠার। পুরস্কারও অনেকটা সে রকম। কারণ এর বাহ্যিক রূপ হয়তো আড়ম্বরে বা উৎসবে। কিন্তু এর অন্তর্নিহিত শক্তি বা ক্ষমতা হলো পুরস্কৃতজনের নিজেকে নতুনভাবে দেখা ও উপলব্ধি করার সামর্থ্য সৃষ্টি করা– সে হিসাবে পুরস্কার শুধু অর্জন নয়, সৃজন ক্ষমতার উৎস। এ শক্তিকে কাজে লাগানো বা একে অনুপ্রেরণা হিসাবে গ্রহণ করে আগামীদিন সৃজনমহিমার অভিনতুন উদ্ভাসনকে আলিঙ্গন করাই কবি লেখকের কাজ।

আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি চট্টগ্রাম একাডেমি ও সংশ্লিষ্টদের – আমাকে এ সম্মানে ভূষিত করার জন্য। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই– কবি, লেখক সংগ্রামী নারী মমতাজ সবুরের প্রতি, তাঁর নামাঙ্কিত এ পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য ও গৌরবান্বিত মনে করছি। সেই সঙ্গে আমি মমতাজ সবুরের পরিবারের সদস্যদের– বিশেষ করে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি বোরহান উদ্দিনসহ তাঁর সন্তানদের ধন্যবাদ জানাই এ পুরস্কার প্রবর্তন ও চালু রাখার জন্য। মহীয়সী মায়ের স্মৃতি সংরক্ষণের এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত।

সেই সঙ্গে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই একাডেমির সভাপতি খ্যাতিমান সমাজিবজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক বিশিষ্ট কবি রাশেদ রউফসহ সম্মনিত আয়োজক ও বিশিষ্ট আলোচকদের। আজ এখানে উপস্থিত আছেন চট্টগ্রামের শিল্পসংস্কৃতি, প্রশাসন ও মিডিয়া জগতের বিশিষ্টজন, আমার নিজ জেলা কুমিল্লা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ। সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

চট্টগ্রাম একাডেমির পক্ষ থেকে যে সম্মান আজ আমাকে আপনারা দিয়েছেন, তার মূল্য অপরিসীম। একমাত্র ভালোবাসাই এর বিনিময় হতে পারে। আপনারা আমার ভালোবাসা জানবেন।

২.

চট্টগ্রাম আমার স্মৃতিসত্তা ও অভিজ্ঞতার অসাধারণ এক অংশ। আমার কবিতাজীবনের দ্রোহ, প্রতিবাদ, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও সহযাত্রার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এখানে। আমরা শুরু করেছিলাম সত্তরের দশকে– তখন আমরা ছিলাম তরুণতম, আমরা ছিলাম পলাশ শিমুলের ভাই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ঘাতক কবলিত বাংলাদেশে বদলে গিয়েছিল কবিতার মানচিত্র। কবিতা হয়ে উঠেছিল রুখে দাঁড়াবার ভাষা। কবিতাকে ভালোবেসে দেশমাতৃকার অনিবার্যটানে আমরা হয়ে উঠেছিলাম কবিতাসংগ্রামী। আজ জীবনের বহুবসন্ত, বহু খরতাপ, বৃষ্টি, শীত, কুয়াশা ও জোৎস্না পেরিয়ে যখন পেছনে তাকাই– দেখি এখনও উজ্জ্বল সেই সব মুখ। সত্তরের সহযাত্রী প্রিয় বন্ধুদের অনেকেই এখানে আছেন–শিশির দও, স্বপন দত্ত, আবসার হাবীব, মিনার মনসুরসহ অনেকেই। এরা সবাই এখন সাহিত্যজগতে প্রতিষ্ঠিত। বন্ধু খালিদ আহসান, কবি ও অসাধারণ প্রচ্ছদশিল্পী –আজ আমাদের মাঝে নেই। তাঁকে স্মরণ করি গভীর ভালোবাসায়।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর চট্টগ্রামের কবি লেখকবৃন্দ যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে আজ তা আমাদের ইতিহাসের অংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় আমিও ছিলাম প্রথম প্রতিবাদীদের একজন– যার উল্লেখ আপনারা করেছেন। আজ আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবি, যখন দেখি, হয়তো বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিদান হিসাবে আমি আরেকটি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ– তিনি আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য–সচিব ও জাতীয়বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন। আমি করেনাকালের ভয়াবহতার মধ্যেও আমার সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও নিবেদনে চেষ্টা করেছি জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনকে স্মৃতিময় করে রাখার জন্য। চেষ্টা করেছি নানা মাত্রিকতা ও প্রাসঙ্গিকতায় চিরন্তন মুজিবের দর্শন ও অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে।

আমার সরকারি চাকুরির একটা বড় অংশ কেটেছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে – আমি ছিলাম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ১৯৮৪ সালে সহকারী কমিশনার হিসাবে যোগদান করি। তারপর চট্টগাম সিটি করপোরেশন ও কক্সবাজারের উখিয়ায় চাকরি করেছি। চট্টগ্রামে থাকতাম জাকির হেসেন সড়কের ভাড়া বাড়িতে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন আমাকে শহরে অনেক উচ্ছেদ অভিযানও পরিচালনা করতে হয়েছে। এর সবই আমার আত্মজীবনীর অংশ – যা আমার কবিতার অনুষঙ্গ।

৩.

একসময় কবিতাই ছিল আমাদের সম্পর্কের সূত্র – আজ কবিতাই আমাকে আবার টেনে এনেছে আপনাদের কাছে। জীবন জীবিকার লড়াইয়ের পাশে কবিতাকে আমি অন্তহীন এক অন্বেষণের গতিভাষা দিতে চেয়েছি। আমার চারপাশে যা আছে তাই আমার কবিতার অনুষঙ্গ– এভাবেই প্রত্যেক কবির মতো আমিও চেনা জগতের সঙ্গে অচেনা অনুভবের সম্পর্ক রচনা করি। চিত্রকল্প, উপমা, রূপকে যা আমার কাছে ধরা দেয় তাই আমি।

তাহলে কবিতা কী? আমার কাছে কবিতা আবিষ্কার বা নির্মাণের বিষয় নয়। কবিতা এক সুদূরের অন্বেষণ যা অতৃপ্ত চরণে জেগে থাকে। স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের প্রাচীন নাবিকের মতো কবি খুঁজে ফিরছে সুপেয় জল Water water every where nor any dorp to drink; কিন্তু সুপেয় জলের কাছে কবি যখন পৌঁছে যাবেন তখন কি তার অন্বেষণ শেষ হবে? ২০০০ সালে আমার একবার কেনিয়া ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল। এই মে মাসে। এক ফাঁকে কেনিয়ার বিখ্যাত মাছাইমারা গেইম রিজার্ভ দেখতে যাই। অসাধারণ সাফারি হাজার হাজার পশুপাখির এক উৎফুল্ল সমাবেশ সেখানে। জিরাফ, হরিণ, জেব্রা, উইল্ডে বিস্ট, বাফেলো, রাইনো কত রকম পশুর চারণভূমি। আমাদের গাড়ির চালক পিটার, মাছাইমারাতে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে তৈরি হয়েছে তার প্রবল ঘ্রাণশক্তি অনেক দূর থেকেও সে টের পায়, বুঝতে পারে পশুদের অবস্থান। সে জানাল এ সাফারিতে সিংহও আছে। শুনে আমরা শিহরিত, রোমাঞ্চিত। আমরা সিংহ দেখার জন্য মাটাটো (এক ধরনের মাইক্রোবাস) গাড়িতে মাছাইমারার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ালাম কিন্তু একটা সিংহও দেখতে পেলাম না। রাত কাটালাম মাছাইমারার মারা সেরেনা হোটেলে। মাছাই কেনিয়ার ক্ষুদ্র এক নৃগোষ্ঠীর নাম। তাদের বাড়ি–ঘরের আদলে হোটেলটি নির্মিত। রাতে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ও সিংহ না দেখার অতৃপ্তি নিয়ে কবিতা লিখলাম ‘মাছাইমারা’ নামে। এর কয়েকটি পঙ্‌্‌ক্তি নিচে দেওয়া হলো :

কিন্তু পিটার, হে মাটাটো চালক কখনো কখনো

অভিযান খুব রোমাঞ্চকর হয়

প্রথম দিন আমরা সিংহ দেখিনি, কিন্তু সিংহের খোঁজে

পার করে দিয়েছি দুপুর থেকে বিকেল অবধি

দুঃখিত পিটার তোমার অভিজ্ঞ ও অনুসন্ধিৎসু চোখকেও

ফাঁকি দিয়েছে তারা

তার বদলে মাথা উঁচু করে দাঁড়াল জিরাফ

চিড়িয়াখানা নয়, মানুষের বন্দীশালা নয়

আদিগন্ত উন্মুক্ত ভূমিতে মুক্ত পশুদের অভিনন্দনই আলাদা

তোমাকে ধন্যবাদ পিটার

কাল ভোরে আমরা সিংহ দেখতে বেরুব।

পরদিন খুব ভোরে বের হলাম। পিটার তার ঘ্রাণশক্তি দিয়ে বুঝে গেছে আজ কাছে কোথাও সিংহ আছে। কিছুদূর যেতেই চোখে পড়ল ঘুমন্ত তিনটি সিংহ। আরাম করে ঘুমাচ্ছিল। পিটার গাড়ির হর্ন বাজিয়ে জাগিয়ে দিল তাদের। সাহস করে খুব কাছ থেকে ছবি তুললাম! তবে কি আমাদের অন্বেষণ শেষ? আমরা জানতাম সিংহ আছে মাছাইমারাতে। খুঁজলে পাওয়া যাবে। ভোরবেলা সিংহের কাছে যখন পৌঁছলাম সেটি বাস্তব। এটি যদিও স্বাভাবিক অন্বেষণ তবুও কবিতার অন্বেষণ ‘কাল ভোরে সিংহ দেখতে বেরুব’ পর্যন্ত। সিংহদর্শনের সঙ্গে এ অন্বেষণের সমাপ্তি ঘটেছে। কবির অন্বেষণের শেষ নেই। স্বপ্ন, কল্পনা, বাস্তবতা পেরিয়ে কবিকে ছুটতে হয়। কবির এ অন্বেষণ জীবন অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে গেলেও তা অদৃশ্যের অন্বেষণ। ফলে দেখা যাচ্ছে যা আছে, যা পেয়েছি তা–ই শেষ কথা নয়, যা নেই তাকে খুঁজে বের করাই কবির কাজ। কথিত আছে, মৃত্যুর কিছুদিন আগে ডব্লিউ বি ইয়েটস বলেছিলেন, কবিতা কী করে লিখতে হয় তিনি জেনে গেছেন। কিন্তু কবির কাজ কোনো কিছু জানা নয় আবিষ্কারও নয়। কবির কাজ কবিতাকে খুঁজে ফেরা, তিনি কবিতাকে খুঁজবেন জীবনের ভেতর, অসীম প্রকৃতি, স্বপ্ন ও কল্পনার ভেতর। এক দিগন্ত খুঁজে পেলে অন্য দিগন্তের খোঁজে বেরিয়ে পড়বেন। ‘পরশপাথর’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ‘খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর।’ কবিকেও বেরিয়ে পড়তে হয় পরশপাথরের খোঁজে। এ অন্বেষণই কবিতার প্রাণ– যা কবিকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

আপনারা যারা এখানে উপস্থিত তারা যদি আমার কবিতা পড়েন তারা সবাই প্রথম পাঠক। কারণ কবিতা পাঠকভেদ সবসময় নতুন। হয়তো কোনো কবিতাকে পাঠক বারবার পড়তে পারেন – সেটি প্রতিবারই নতুন করে তার উপলব্ধিতে প্রবেশ করতে পারে। যদি প্রতীকী অর্থে বলি যেমন–

কবি Paul Celan লিখেছেন , A poem…can be a massage in a bottle. প্যারিসবাসী এই জার্মান নকিব হয়তো কবিতাকে সেইন নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা ভাবেননি– কিন্তু সত্যিই যদি তাই হয় বোতলে ভরে কবিতাকে বঙ্গোপসাগর কিংবা কর্ণফুলীতে ভাসিয়ে দিই। তবে হয়তো বহু বছর পরে সৈকতে কিংবা নদীতীরে সেটি ভেসে আসবে। বোতলের ছিপি খুলে যিনি পাঠ করবেন তিনিও প্রথম পাঠক– পার্থক্য এই যে একজন সমকালীন ও অন্যজন দূর আগামীর।

কবিতা যখন পাঠকের কাছে পৌঁছোয়, আমেরিকান কবি বিলি কলিন্সের ভাষায়, তখন, ‘একজন পাঠক, একজন অপরিচিত ব্যক্তি কবির সচেতনতার ভেতর প্রবেশ করে তার মানসিক ও আবেগের জগতে ভ্রমণ করতে পারে।’

এখানেও বক্তব্যের ভিন্ন ব্যাখ্যা করা যায়। এই যে প্রবেশপথ, এটা কাছের না দূরের তাও বিবেচ্য। সমকালের পাঠক ও মহাকালের পাঠক একই ঐতিহাসিক, স্থানিক বা আবেগের জগতে পরিভ্রমণ করতে পারেন না। কবিতার জন্য সময় একটা বড় বিষয়। সময় কবির শ্রেষ্ঠ অনুষঙ্গ, সময় থেকেই কবিকে জীবন অভিজ্ঞতা নিতে হয়। এই অভিজ্ঞতা প্রজন্মের পর্যবেক্ষণেও এর ছাপ পড়ে। স্থান, কাল ও প্রজন্মের বোধ এবং অভিজ্ঞতায় দূরত্ব থাকে, ফলে দুই প্রজন্মের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করা দুরূহ। সকল পাঠকই কবিতার প্রথম পাঠকু শুধু সময়, বোধ ও অভিজ্ঞতা তাদের আলাদা করে দেয়। ১৮৬২ সালে আটলান্টিক মান্থলি (বর্তমানে দি আটলান্টিক) ম্যাগাজিনে টি ডব্লিউ হিগিনসনের Letter to a Young Contributor পড়ে এমিলি ডিকিনসন চারটি কবিতাসহ তাঁকে চিঠি লিখে তাঁর কবিতা সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছিলেন, ‘বলুন আমার কবিতা কি জীবন্ত?’ চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন যে ‘মন নিজেই এত কাছে যে সে নিজে স্পষ্ট দেখতে পায় না।’ এমিলির এ প্রশ্ন ও উপলব্ধি কবিতার শাশ্বত জিজ্ঞাসা।

আজ প্রায় পঞ্চাশবছর, এই যে কবিতার পেছনে ছুটে চলা – কত টুকরো কাগজ, কত অসমাপ্ত চরণ উড়িয়ে দিয়েছি বাতাসে। এর একটাই উদ্দেশ্য – আমিও চেয়েছি আমার কবিতাকে জীবন্ত করে তুলতে। আপনাদের এই সম্মান যদি আমার কবিতাকে পাঠক হৃদয়ে জীবন্ত রাখতে প্রেরণা দেয় – তবে এই প্রাপ্তি আমার চিরকালের প্রাপ্তি। সবাইকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
২০ মে ২০২৩

Exit mobile version