১. স্বপ্নঘুড়ি

ছোট্ট লাটাই আমার হাতে মেলবে ঘুড়ি ডানা
রঙিন ঘুড়ি আকাশ ছোঁবে কে করবে মানা?

ঘুড়ির সাথে বিভোর হবো আমিও যাবো দূরে
এলোমেলো বাতাস যেন গান গাইবে সুরে।

হঠাৎ দেখি ঘুড়ির দিকে আসছে কী যে ওমা!
আগুন জ্বলা জিনিস বললো, আমি রকেট বোমা।

ইসরাইলের আকাশ থেকে আসছি উড়ে উড়ে
তোমার এসব স্বপ্নঘুড়ির বুকটা দেবো ফুঁড়ে।

তোমার কি নেই বিচার-আচার, নেই কি দয়ামায়া,
তুমিই তবে দৈত্যদানব? অশুভ সেই ছায়া?

রূপকথার ওই বইতে পড়ি, দেখছি দানব আজ
ফুলপাখিদের স্বপ্ন পোড়াও, কেমন তোমার কাজ!

এক আকাশে উড়বো সবাই থাকবো মিলেমিশে
যুদ্ধ থামাও, মাথা ঘামাও, পাবে পথের দিশে।

২. মানুষ যদি না বাঁচে

কার জন্য রক্ষা করো মসজিদ সিনাগগ
কার জন্য উপাসনালয়, ঝকমক এবাদত!

কার জন্য গির্জার ধ্বনি, মন্দিরে উৎসব
আকাশে ওড়াও যুদ্ধ বিমান, বোমার কলরব।

মানুষ শিশু না বাঁচে যদি, ঈশ্বর বাঁচে কিসে?
ঝাঁঝরা করছো ফুল ও কলি বৃক্ষ ধর্ম বিষে!

এতো ঈশ্বর, এতো আল্লাহ, ভগবান ভেদাভেদ
প্রকৃতির কাছে শেখো হে মানুষ, কোথায় সে বিচ্ছেদ?

চিতা, জানাজা, মন্ত্র-দরুদে গঙ্গা যমুনা বহে
গণকবরে রাখছো যখন; ধর্ম তখন সহে।