চাঁদ এতো হাসে
হাতে পেয়েও সে হাসির অর্থ বুঝি না।
বিদ্যে হলো না কারণে-কী করে হবে ?
স্কুলবয়সে রবীন্দ্রনাথ মাথায় ঢোকালেন মদির
“ওগো তুমি পঞ্চদশী, তুমি পৌঁছিলে পূর্ণিমাতে…।”
সে হতে বারো রাশি-সাতাশ নক্ষত্র মুলুক
চান্দ্রমাস অরণ্যে
চন্দ্রসিদ্ধি সাধনা আসনে,
ডাকাতিয়া অমাবস্যা-তিথি বিলে পানিতে ডোবা
কৃষ্ণপক্ষ চাঁদ কলা-
মরীচি মানদা অঙ্গিরা শশিনী ছায়া প্রীতি তুষ্টি অমৃতা
জপমন্ত্রে উদ্ধার,
শুক্ল প্রতিপদে ভোর রাতে
ঘরে ও’ মুখখানা আব্ছায়া সলাজ।
দ্বিতীয়ায় এক ফালি হাসির ইন্দু
তৃতীয়ায় স্মিত চন্দ্রহার কটিদেশে-গোপন প্রণয়
চতুর্থীতে চঞ্চল দুষ্টুমি হাসি শিয়রে মায়া-প্রদীপ
অষ্টমীতে রতিকলা বুকের সম্ভারে তপ্ত স্পর্শ
দ্বাদশীর মায়াবী ময়ূরপুচ্ছ অর্ধ চন্দ্রাকার
নাচে- লাস্য কোমল মনোহর শোভনভঙ্গীতে
গায়- বীণাসুধা কোিিকলের মিঠে সুরে
‘সুন্দরের খোঁজ পরে, গান নাচ যাই করো-
শ্রী-কাতর মনুষ্যজন্মে জ্বালো জ্বালো রুপের আগুন!’
অভিমানে কখন যে আমার পৃথিবীর চন্দ্রকান্তমণি
সেকেন্ডে এক মাইল বেগে ছুটে
অকস্মাৎ দৃষ্টি বেয়ে মেঘতরুতলে চৈতালি চাঁদনি
সাতাশ দিন সাত ঘন্টা তেতাল্লিশ মিনিটে প্রদক্ষিণরত
চন্দ্রিকা রইলো না প্রহরে,
চন্দ্রিমা আলোর বন্যায়
চতুর দেবগণ সোমরস পানে মত্ত জোনাকির বেশে
শুক্লপক্ষীয় কলা-
পূষা যশা সুমনষা রতি প্রাপ্তি ধৃতি ঋদ্ধি সৌম্যা
ষোল-কলা পূর্ণা জ্যোৎস্না
অজস্র হিরের কুঁচি জলে চাঁদোয়া
বাসন্তি হাওয়ায় থৈথৈ কান্তি শস্য-শ্যামলে
সর্বজনীন হাসিতে।
ভালোবাসার চাঁদ একার হয় না !