দ্বীপের নাম দারুচিনি দিয়েছিলেন জীবনানন্দ দাশ।
ঋতুকালে শাকসব্জীর বাজার দলেবলে গিয়েছিলো
পিকনিকে, দ্বীপে
লাল কাঁকড়ার আগুন ছুঁতেও পিছু ছুটেছিলো।
ফুলকপি রাঁধতে চেয়েছিলো রৌদ্রস্নানের ডালনা,
সব্জীখিচুরির সাথে পালং শাকের দো-পিয়াজি।
না দারুচিনি,না তেজপাতা,না লবঙ্গ,না গোলমরিচ,
নাহ, কোনো বৃক্ষই খুঁজে পাওয়া গেলো না।
নয় লভ্য সব চাওয়া-পাওয়া, সময়ের কুয়াশাও দেয়
ফিরিয়েও, কিছু কিছু ব্যাখ্যাহীন পাওয়া।
জীবনানন্দের ভাষ্যেই, “ধরা যাক দু’একটা ইঁদুর
এবার”।
হারাধনের দশ ভায়ের এক ভাই হোটেল বার্মা রাজু,
সে-ই সে কোন্ কালস্রোতে ফিরিঙ্গি বাজার রোডের
জমজমাটি ব্যবসা গুটিয়ে,হয়েছিলো হঠাৎ উধাও।
এরপর, বর্তমানে ঘটমান কাণ্ডটায়ও এখন অবাক !
সে এখন দ্বীপ-বালুকায়, দোকানের সুখ-কেদারায়,
দোল খায় সমুদ্রের লোনাঘ্রাণে, হু… হু…হওয়ায়।
টেবিলেও বহু সমজদার, সেকালের কায়দায় সার্ভ
হচ্ছে সীম বিচির – সুবিখ্যাত ‘খাইস্যা-কইমাছ’।
বিশাল গলদা চিংড়ি, মালাইকারি,থালা শোভাদার,
সোনাদিয়া-রাঙাবালীর মিঠেস্বাদু ছুরিসুটকী বড়ো,
দেখনসুখের সে-ই ‘খাইস্যা’য়, ঘামঝরা ঝাল।
ক্যাশ বাস্কো ঝম্ ঝম্, বাঘাভুঁড়ি হাসফাস, অপ্রাকৃত
দারুচিনি দ্বীপ, অহর্নিশ বকশিস বয়-বেয়ারা লাল।