Site icon Shaili Tv

জীবনানন্দের দারুচিনি দ্বীপ, বার্মা রাজুর ‘খাইস্যা’ / স্বপন দত্ত

দ্বীপের নাম দারুচিনি দিয়েছিলেন জীবনানন্দ দাশ।
ঋতুকালে শাকসব্জীর বাজার দলেবলে গিয়েছিলো
পিকনিকে, দ্বীপে
লাল কাঁকড়ার আগুন ছুঁতেও পিছু ছুটেছিলো।
ফুলকপি রাঁধতে চেয়েছিলো রৌদ্রস্নানের ডালনা,
সব্জীখিচুরির সাথে পালং শাকের দো-পিয়াজি।
না দারুচিনি,না তেজপাতা,না লবঙ্গ,না গোলমরিচ,
নাহ, কোনো বৃক্ষই খুঁজে পাওয়া গেলো না।
নয় লভ্য সব চাওয়া-পাওয়া, সময়ের কুয়াশাও দেয়
ফিরিয়েও, কিছু কিছু ব্যাখ্যাহীন পাওয়া।
জীবনানন্দের ভাষ্যেই, “ধরা যাক দু’একটা ইঁদুর
এবার”।
হারাধনের দশ ভায়ের এক ভাই হোটেল বার্মা রাজু,
সে-ই সে কোন্ কালস্রোতে ফিরিঙ্গি বাজার রোডের
জমজমাটি ব্যবসা গুটিয়ে,হয়েছিলো হঠাৎ উধাও।
এরপর, বর্তমানে ঘটমান কাণ্ডটায়ও এখন অবাক !
সে এখন দ্বীপ-বালুকায়, দোকানের সুখ-কেদারায়,
দোল খায় সমুদ্রের লোনাঘ্রাণে, হু… হু…হওয়ায়।
টেবিলেও বহু সমজদার, সেকালের কায়দায় সার্ভ
হচ্ছে সীম বিচির – সুবিখ্যাত ‘খাইস্যা-কইমাছ’।
বিশাল গলদা চিংড়ি, মালাইকারি,থালা শোভাদার,
সোনাদিয়া-রাঙাবালীর মিঠেস্বাদু ছুরিসুটকী বড়ো,
দেখনসুখের সে-ই ‘খাইস্যা’য়, ঘামঝরা ঝাল।
ক্যাশ বাস্কো ঝম্ ঝম্, বাঘাভুঁড়ি হাসফাস, অপ্রাকৃত
দারুচিনি দ্বীপ, অহর্নিশ বকশিস বয়-বেয়ারা লাল।

Exit mobile version