১. প্রতীক্ষা

দিগন্তের দিকে চেয়ে চেয়ে বৃষ্টি দেখি
জানালার কার্ণিশ ছুঁয়ে নামে জলের নগ্নধারা।
ঝুমবৃষ্টির তালে দিকহারা হয় বাড়ি ফেরা পথিক,
আমি কাল গুনি তোমার ফিরে আসার।
গ্রিলের ত্বক ছুঁয়ে প্রহর গুনি
এক- দুই-তিন
গুরুগুরু মেঘের গর্জন আর উচ্ছৃঙ্খল বাতাসে
ভীত- সন্ত্রস্ত আমি,
তোমার বুকে মুখ লুকাবো বলেই এতকাল আয়নায় নিজের মুখ দেখিনি,
আনত চিবুক বেয়ে অবিরাম গড়িয়ে পড়া জলকে তাই
আর পৃথক করতে পারি না।
বৃষ্টি আর নোনা জল মিশে একাকার
যেন সহস্র বছরের চেপে থাকা কান্না।
আকাশও এক হয়ে কেঁদে যায়
যেন সেও প্রতীক্ষায় ছিলো এতোকাল কারো ফিরে আসার।

২. খোঁজ

কেমন আছো পৌষী দুপুর
কেমন আছো দখিন হাওয়া
কেমন আছো মিষ্টি বিকেল
সূর্য অস্ত যাওয়া?

এইখানে আর রোদ খেলেনা
ঘুম কাড়েনা দুপুর বেলা
সুঁই সুতোতে নকশীকাঁথা
স্মৃতির চাদর কেউ বুনেনা।

কেমন আছো দূরের পাহাড়
আঁকাবাকা ঝর্না ধারা
শালপিয়ালের বনের ধারে
আগুন জ্বালা জোনাকিরা?

কেমন আছো শান্ত নদী
আকাঁবাকাঁ বয়ে চলা
শাপলা, শালুক, কচুরিপানা
দিকহারানো মাছের খেলা?

কেমন আছো আমার তুমি
সুখ নদীতে প্রেমের খেলা?
দূরে আছো বলেই কি গো
সহজে এত যায় গো ভোলা।