যদি দুটো পাখা পেতাম-
উড়ে যেতাম মেঘের দেশে, দেখাতাম মেঘের চক্ষু ছুঁয়ে,
কোথায় পায় এতো জল, বৃষ্টি নামার কলবরে।

শ্রাবণ মাসে কাঁদে আকাশ, মেঘকে সাথি করে,
আকাশের মা; গেছে কি ছেড়ে,আকাশকে একা রেখে,
জানতে বড় ইচ্ছে করে মাগো, দেখতে বড় ইচ্ছে করে।

উড়ে যেতাম চাঁদের দেশে,বুড়ির সাথে খাতির করে আনতাম শাড়ি
তোমার জন্য – চাঁদের শাড়ি; জোছনার আলোয় ঝলমল করতো!
আমার মায়ের চাঁদের গায়ে থাকবে চাঁদ; জোছনা নিয়ে!

মাগো আমার মা, তোমার দুটো পায়ে পড়ি,
আমায় ছেড়ে যেও না কভু, বুকে রাখো সারা জীবন।

আমি মাগো, দুটো পাখায় ভর করে যাবো দেশ থেকে দেশান্তরে।
তেপান্তরের মাঠে যাবো, নীল পদ্ম তুলে আনবো,
মারবো যতো রাক্ষস- খোক্ষস, বন্দী করে আনবো ঘরে সকল ভূতের রাজা।

তোমার কোনো ভয় নেই মা, আমি এখন বীর সেজেছি,
বীরের মায়ের ভয় কি বলো?
মারবো যতো বাঘ- ভাল্লুক, সিংহ- হাতি, খেঁক শিয়াল।

তোমার ছেলে শক্ত হাতে লড়তে পারে, শহীদ মিনার যেতে পারে,
স্মৃতি সৌধে দাঁড়াতে পারে, হানাদারদের চিনতে পারে, হৃদয় থেকে ঘৃণা করে।

তুমি মাগো, স্বাধীন দেশের স্বাধীন মেয়ে, স্বাধীন নাগরিক! তোমার কোনো ভয় নেই মা!
আমাদের চোখ খোলা, চারিদিকে পাহারা দিই।