বেশ ক’খানা নিয়ম ডিঙিয়ে তোমায় দেখতাম রোজ,
খুব মনে হত তুমিই সেই স্বচ্ছ জলে সদ্য সরোজ।
তোমায় দেখতাম দুরন্তপনায়,গান বীথিকায়,স্বপ্ন স্মরণে,
রাত্রিযাপনে,ভোর আগমনে,মধ্যাহ্ন কিংবা অপরাহ্নে।

তোমায় দেখেছি যুবতী কালে স্নিগ্ধ ভাবনার প্রথমাবস্থায়,
দেখেছি তোমায় সুপ্তে বিরাজ অগ্রজের ন্যায়পরায়ণতায়।
তোমায় পেয়েছি সত্য সুন্দরে,সাদরে আদরে গোচর-অগোচরে,
বুঝেছি তুমি সর্বত্র হে সুখ, বুঝেছি তুমি বেশ আটপৌরে।

চিরবন্ধনে বাঁধতে গিয়েছি,তোমার স্বত্ত্বায় অমনি নিখোঁজ,
বুঝেছি তুমি ধূসর,লাল,কালো অথবা নও ফিরোজ।
তোমার প্রকারে তুমি সুশোভন,তোমার আদলে তুমিই আ-ভুবন,
নও খন্ডিত-চূর্ণিত,নও দুমড়িত-কুঞ্চিত,অলক্ষ্য অনুধাবন।

তোমায় দেখেছি ত্যাগ তিতিক্ষায়,স্বজনে,নির্জনে,সম্প্রদানে,
দেখেছি প্রকাশ্যে,গোপনে হে সুখ,অতীতে ও বর্তমানে।
বুঝেছি তুমি তর্কাতীত,প্রশ্নাতীত,অনির্ণীত হে অভীষ্ট সুখ,
তোমায় এত বুঝেছি যখন, তোমায় চাওয়া সত্যিই ঘুচুক।