Site icon Shaili Tv

দীপক বড়ুয়া : সাহিত্য-সাধনায় নিবেদিতপ্রাণ, সমাজ অভিমুখী লেখক

দীপক বড়ুয়া চট্টগ্রামের সাহিত্যাঙ্গনে বিশিষ্ট নাম। বড় ও ছোটো উভয়ের জন্য তিনি গল্প লেখেন। সচেতনভাবে তিনি অংকন করেন সমাজকে। সমাজের মানুষকে দেখার চোখ তাঁর তীক্ষ্ণ এবং বোধও তাঁর ‘গাঢ় ও সংবেদী’। তাঁর গল্পে উঠে এসেছে মানুষ-মানুষের সম্পর্ক-সম্পর্কের বিচিত্র গতি, দুঃখ-বেদনা, ভালোবাসা-প্রতারণা, হিংসা-দ্বন্দ্ব-সংঘাত এবং অভিঘাত। দৈনিক আজাদীসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রচুর গল্প প্রকাশিত হয়েছে তাঁর।
ছোটোদের জন্য রচিত গল্পে শিশু-কিশোরের প্রতি তাঁর ভালোবাসাই প্রকাশ পেয়ে থাকে। গল্পগুলোতে এমন কিছু অনুষঙ্গ থাকে, যে-গুলি শিশুকিশোরের মনোরঞ্জনে ভূমিকা পালনে সক্ষম। তাঁর সমগ্র সাহিত্যজীবনে নানামুখী যে সব রচনা তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন, তা আমাদের শিশুসাহিত্যে বড় সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হবে নিঃসন্দেহে।
অর্ধশত বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে লেখালেখি করে তিনি নিজেকে অনিবার্য করে তুলেছেন। প্রকাশিত হয়েছে বড়দের গল্পগ্রন্থ : ‘বনলতা সেনের আকাশযাপন’ এবং ছোটোদের জন্য গল্পগ্রন্থ : নীল আকাশে ঘুড়ির দেশে, জাম্বু ভূতের কা- এবং ভোরের আলোয় স্বপ্ন নাচে।
গল্পের পাশাপাশি ছড়া ও কিশোরকবিতা রচনায় তিনি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁর অসামান্য প্রতিভা। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ছড়াগ্রন্থ : এলোমেলো। ‘তোমার চোখে চোখ রেখেছি’ নামে একটা লিরিকগ্রন্থও আছে তাঁর।
সাহিত্য সাধনায় নিবেদিতপ্রাণ দীপক বড়–য়া একসময় সম্পাদনা করতেন চর্যা, ঋভু, মোক্ষ, খোকন ও শিশুমেলা। এছাড়া ‘নতুন ভোরের স্বপ্ন’ নামের একটা গল্পগ্রন্থের সম্পাদনা করে আলোড়ন তুলেছিলেন।
দীপক বড়ুয়ার জন্ম ফটিকছড়ি উপজেলার জাঁহানপুর গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম একাডেমির একজন পরিচালক। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি পদক, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক-প্রফেসর মোহাম্মদ খালেদ ফাউন্ডেশন পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেন।

Exit mobile version