এখানেই, এই দেওদিঘীর জলে, মধ্য দুপুরে
ভেসে থাকা কিশোরীর শাড়ির মত, পাড় ঘেঁষে
পড়ে থাকে এই হাট, দেওদিঘীর হাট,
ভারী শরীর বটেরা ভুলে গেছে বয়েস!
হাটের কিংবা নিজের, মনে নেই কিছুই,
মসনফের ছোট ছেলে,ক্ষেতের প্রথম ফসল হাটে,
ঘরে পোয়াতি বউ, সংসারে সচ্ছলতার তোড়জোড়।

গলা চড়া হয়, বাড়ে ব্যস্ততা,
ফুলকপি-মুলোর পাতায় একটা স্তুপ বেড়ে উঠে হাঁটের পশ্চিমে,
বিকিকিনির আড়ালে মুখগুলোতে ভেসে ওঠে লাভ লোকসানের সুখ দুঃখ।
এখানেই সন্ধ্যা ঘনায়, মিলিয়ে যায় কলরব,
কুপি বাতির আলোয় একমুঠো বড়বটি হাতে শুধু অপেক্ষা ফুরোয় না এক শীর্ণকায় কিশোরের,

লুটিয়ে পড়ে অন্ধকার,
বেশ্যা রাতের শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে পড়ে কামুক শিশির
বয়েসী বটের গায়ে বুনো অর্কিডের ফুলের পশরা, যেন ঠোঁটের কোণের চড়া লিপস্টিক,
সৌন্দর্যে মাতাল করে তুলে উজানি ছাতিমের পিয়াসী মন,
এখানেই রাত বাড়ে,
বাড়ে অন্ধকার,
শেষরাতের শেষ খকখক কাশিতেই থেমে গেছে তার সব শব্দ,
রোববারের হাটে শুটকির ডালা নিয়ে দেখা মিলবে না আর বৃদ্ধ করম আলীর,
থুতনির মেহেন্দি পরা দাঁড়িতে আর ভেসে উঠবে না ব্যাবসায়িক সততা।