ধীর পায়ে হেঁটে চলা বিশাল করিডোর ধরে
ভাবনারা সাথী হয় নৈঃশব্দ্যের ছায়ায় মিশে…
পৃথিবীর স্বীকৃতির অপেক্ষা করতে নেই,
নিজেকে নিজেই স্বীকৃতি দিয়ে প্রমাণ করতে হয়
আমি নারী, সব পারি, পারতে হয় আমাদের!
জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা আমার স্বয়ং স্রষ্টা প্রদত্ত,
শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কুরআনের সুরা মারিয়াম
তার জলজ্যান্ত প্রমাণ,
একজন নারীর পরিচয়ে তার আত্মজ
বেড়ে উঠতেই পারে সমাজ নামের সামাজিকতায়,
শেষ বিচারের দিন যেখানে মায়ের নামেই
সন্তানের ডাক পড়বে,সেখানে পৃথিবী কোন ছাড়!
স্বীকৃতির অপেক্ষায় থেকে বৃথাই যায় সময়,
বোবা দৃষ্টি ঘুরে ফিরে আছড়ে পড়ে দেওয়ালে…
এ জীবনে কেবলি লড়তেই হয় নারীকে
বিনিময়হীন শুভংকরের ফাঁকির মত !
তবু নারী নিশ্চুপ নাড়ির দায়বদ্ধতায়,
বন্ধনের আবরণে জড়ানো সম্পর্ক রক্ষায়
তার যে জুড়ি মেলা ভার ।
নারী ভালোবাসতে যেমন পারে প্রাণ দিয়ে,
ঘৃণায় ও সব ধ্বংসের কারণ হতে পারে নির্দ্বিধায়।
অফুরন্ত ইচ্ছেশক্তি দিয়ে গোটা ভুবন রাঙিয়ে
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে যে,
সে মহান রবের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নারী!
তোমার সম্মানের কোথাও কমতি নেই,
তোমার মায়ার সহ্যসীমায় কোনো বিকল্প নেই,
তুমি নারী বলেই ওগো রমণীয় রমণী!
তোমাকে অসম্মান করা মানে নিজেকেই বিসর্জন
করার গ্লানিটুকু সারা জীবন বয়ে বেড়ানো আত্মা
যে বুঝতে চায় না, তাকে বোঝানো বড় দায়,
মানতে নেই সে শাসন,অনুগ্রহে জর্জরিত সে মন।
এত এত ক্ষমতা নিয়ে জন্মানো নারীকেই
অবাক বিস্ময়ে জয় করতে হয় দুঃখ কষ্টকে,
সব প্রমাণেই শুচিস্মিতা নারী পরিচয়ে অনন্যা,
রুচিতে স্নিগ্ধা, কর্তব্যে অনড়,দায়িত্বে নিষ্ঠাবান!
আমি পারি,সব পারি,পারতেই হয় আমাকে তাই
ভালোবাসায় জয়িতা হয়ে সুরভিত সৌরভ ছড়াই,
গতানুগতিক ভাবনার ভাঙচুর শেষে
করিডোর পেরুনো দ্বিধান্বিত সে মানবী…
আলোড়িত উপাখ্যানে আত্মপ্রত্যয়ী পরিচয়ে
ফিরে পাওয়া মনের নিখাদ সৌন্দর্যে
অনিন্দিতা এক নারী তখন।
ঋণী হয়ে রয় হাসি মুখে অশ্রুত গান্ধারে “পরিচয়”
সময়ের কাছে, সম্পর্কের কাছে,বন্ধনের কাছে,
ক্ষুদ্র আয়ু, ভালোবাসার এক চিলতে জীবন….
তবু কৃতজ্ঞতা আজীবন, আমরণ….।