মর্মমূলে প্রবেশ করে স্বাদ নিয়ে দেখতেই পারো
আমার অভিনীত চরিত্রের রূপায়ন,
নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি!

লবণাক্ত বিশ্বাসের অস্তিত্বে কষ্টের উপস্থিতি জন্ম দেয় প্রশ্নের
কতটা লবণাক্ত হলে সাগরের জল নীল হয়, জানো?
আদরের নৌকোয় ভেসে যেতে যেতে মনের ঝিলে পদ্ম ফোটে,
পদ্মের শেকড়ে থাকে কষ্টের বেপরোয়া আঁকড়, মানো?

অনির্বাণ আস্থার আলোকে অপলক দৃষ্টির চেয়ে থাকায়
অজস্র প্রশ্নের নীরব উত্তরের মৃত্যুর বিষাদ,
তবু কি থেমে থাকে জীবন কারো অভিমানে?

ব্যস্ততার বেড়াজাল আরোপে তৈরি সীমানা প্রাচীর
প্রথমবার ডিঙিয়ে উড়েছে বিহঙ্গ মন তোমার আকাশে,
অনুভবের প্রসব ব্যথায় অনুভূতির মধুর জন্মকথা
স্মরণের আবরণে রেখো না কখনো,
রেখো জীবন্ত করে বুকের বাঁ পাশে হৃদস্পন্দনে মিশিয়ে
যেমনটি আমি রেখেছি।

অমন ঘোর লাগা বসন্তে ও বর্ষার মেঘলা মেঘের মত
অবেলায় মন খারাপের বৃষ্টির অঝোর ধারায়
অন্তত কোনো একদিন কখনো কোনো মুহূর্তে
সমস্ত সরল স্বীকারোক্তির বিনিময়ে হলে ও
তোমাকে জড়িয়ে মন উজাড় করে কাঁদতে চাওয়া
খুব সাধারণ অথচ অমূল্য এই ইচ্ছের ও অপমৃত্যু হোক
আমি চাইনা কিছুতেই।

বিশ্বাস এটুকু আমাকে করতেই পারো দুচোখ মুদে,
এমনটি আমি চাইতেই পারি তোমার কাছে
অনুরোধ কিংবা আব্দার করতেই পারি
নাম ভূমিকায় আমার পরিবর্তে আমার স্থানে খানিক আসার,
জীবন জটিলতায় ভরা দ্বিধা সংকোচের সংজ্ঞা
নতুন করে জানবে সেদিন – প্রতিশ্রুতি আমার ।