আমাদের দিন অন্ধ রাত বোবা
আমাদের চিত্ত দুর্গন্ধে পচিত
জীবনেরা ক্লান্ত বৈশ্যের ধোঁকায়
আমাদের মন লাম্পট্যে রচিত
তোমার প্রতিজ্ঞা নেই। তুমি কবি হবে কীভাবে কেমন করে
তোমার চেতনা ভ্রষ্ট — আগামীকালের নয়
গতকাল গতপরশু দূর অতীতের
তুমি কবি হবে? আশা কর — কীভাবে কেমন করে
আছে কোনো চাবিকাঠি হৃদয় বদলানো বিশ্বস্ত প্রত্যাশা!
কবি হতে হলে মেঘের প্রতিষ্ঠা চাই স্নায়ুতে – জীবনে
চায়ের কাপেতে বেলা বিস্কিটডুবানো চিত্রকল্প আঁকা
খুব স্বাদু নয় আজকালকার দিনে
কবিতাকে যেতে হবে অন্য রকমের রচনের বোধ ও বোধনে
চেতনের খুনে রাঙা হতে হবে
লাবণ্যের ভাংচুরে গড়ে নিতে হবে
দিতে হবে পুরস্কার অন্যধরনের রোদ ও বৃষ্টির আস্বাদন:
সমগ্র শরীর জুড়ে — মানে কবিতার উজ্জ্বল ব্রততি ঘিরে
বিস্ময় ও নিস্তব্ধতা যদি ঈর্ষাযোগ্য বসতি না গড়ে তোলে
নতুনের আরোগ্যসাধক রোডম্যাপ
তবে তাকে যাবে না বলা কবিতা বা কাব্যের স্বচ্ছল সংসার :
শুদ্ধতম কবি বলে কেউ নেই এই ভূমণ্ডলে – মানবভাষায়
আছে আশ্চর্য কথন শুধু চয়নবয়ন ঘিরে স্তব্ধতার মগ্নরূপকার ::
মহৎ বৃক্ষের দিকে তাকাও মেলিয়া চক্ষু
বনের আত্মার সাথে হাঁটো একাকী একজন বিখ্যাত নিঃসঙ্গ
রাত্রিদিন বসবাস করো সৃজন সত্তায় মৌলিকের আরোহী দীক্ষায়
যে ফল লভিত হবে – তৈরি হবে – তার নাম
নিস্তব্ধ সবুজ আর প্রশংসিত সমুদ্রশামুক নীলের মহাকবিতা—
অস্থিরের সামজিক থেকে মৃত্যু ভালো – মরণই শ্রেয়
জনতা কবিতা নয় – মনে রাখা ভালো কবিই জনতা
নির্বাসিত হও তুমি দণ্ডিত করো আপনাকে
শব্দের স্তব্ধতা নিয়ে মৌনী হও অসংকোচ নিখিলের মেঘ হও
যদি ইচ্ছা হয় — নদী নয় আকাশ উচ্ছ্বাসে
সত্যকে ছাঁকিয়া তোলো — সুন্দরে অসীমে
বনেবনে পত্র ও পল্লবে ঘুরিয়া বেড়াও বাঁচনের জোনাকিজীবন :
একটি জলরং গোলাপ পেতে হলে দীর্ঘতম ভ্রমণেই যেতে হয়
সুদূরের সরণিতে স্মরণের পথে হাঁটতে হয় নির্জনের পাখিপ্রাণ–
আমাদের দিন অন্ধ রাত বোবা
আমাদের সত্য আছে – কিন্তু খোঁড়া
ভাঙা সেতুটিকে দিতে হবে জোড়া।