পরাধীনতার অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে
ক্লান্ত আমার বাংলা মা।
শৃঙ্খলিত জীবনে বুকের ভেতর আহাজারি
আহারে, কোথায় আছো বাচারা?
আমায় মুক্ত করো,আমার সবুজ শাড়ির
আঁচল উদীয়মান লাল সূর্যের সাথে খোলা হাওয়ায় উড়িয়ে দাও।
আমার দামাল ছেলেরা!কোথায় আছো?
জাগো! জেগে ওঠো!
আমার বুকের পাঁজরে তোমরা লুকোচুরি খেলবে, দাপিয়ে চলবে,
মায়ের ভাষায় কথা বলবে আর সোনালী ধানের সবুজ ক্ষেতের আল ধরে বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে দৌড়াবে।
আর কাহাতক সহ্য হয় এ অনাচার? আমার সন্তানের গ্লানিময় জীবন, নির্যাতনে জর্জরিত, বৈষম্যের আনাগোনা
আর ষড়যন্ত্রের শিকার?
ওলো! তোরা জেগে ওঠ! রুখে দাঁড়া।
আমার বাংলা মাতার বুকের আর্তনাদ শুনে সেদিন জেগেছিলেন একজন।
হয়েছিলেন আপামর বাংলার সন্তানদের
অবিসংবাদিত নেতা, ত্রাতা।
তাঁর বজ্র কণ্ঠের এক আহ্বানে বাংলা মায়ের লাখো কোটি সন্তানেরা ঝাঁপিয়ে
পড়েছিল মুক্তি যুদ্ধের ময়দানে, আত্মত্যাগ
করেছিল বলিদানে, হটেনি কোন পিছু টানে।
মাকে করেছে শৃঙ্খল মুক্ত, এনেছে লাল সবুজের স্বাধীনতা,
এনেছে আনন্দের বিজয়,এনেছে সম্মানের বিজয়, এনেছে সার্বভৌমত্বের বিজয়।
এ বিজয় আমার বাংলা মাতার।
এ বিজয় আমার লাল সবুজ পতাকার।
এবিজয় অমর হোক।