এক যুগ পার করে দিলাম
কোথাও খুঁজে পাইনা মায়ের উপমা,
কবিতার খাতা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে
সহস্র রাত….!
কলমের কালি লজ্জায় মরে যায়
তবুও মিলে না আমার মায়ের একটি উপমা,
তবুও লেখা হয় না মায়ের নামে
একটি কবিতা।
এ আমার চরম গ্লানি, চরম ব্যর্থতা….!
গোলাপের দিকে তাকালে বলে উঠে….
“ভরে আছে আমার গায় কাটায় কাটায়
এমন উপমা তারে কি মানায়”
চাঁদের দিকে তাকালে সে বলে…
“কলংকের দাগ বইছি সে কবে থেকে
এমন উপমা দিস না নিষ্কলংকা তারে”
ছুটে যাই আকাশের কাছে, বলে উঠে….
“আমার শরীর মেঘে ঢাকা আছে,
তার উদারতার কাছে আমার নাম
বড্ড মিছে লাগে”
অবশেষে গেলাম নদীর কাছে
বলল সে ডেকে….
“দুঃখিনীর চোখের জলে ভরে আছে
আমার বুক,
আমার নাম সেই মহিয়সী নারী থেকে
দূরে থাকুক”
পৃথিবীর কাছে চিৎকার করে চাহিলাম
আছে তোমার কাছে?
এমন একটি দাওনা উপমা
আমার লক্ষ্মী মায়ের সাঝে।
মায়ের উপমা খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত অবসন্ন প্রায়,
বিধাতার কাছে প্রার্থনা করে যায়
লেখা থাক আমার মায়ের নাম
রাসুলের প্রিয় উম্মতের খাতায়।