Site icon Shaili Tv

মা তোর বদনখানি মলিন হলে / সৈয়দা সেলিমা আক্তার

আমাদের স্কুলে শিক্ষিকাকে দিদিমণি ডেকেছি, টিফিন আওয়ারের আগে জল ছুটিতে কোনো সমস্যা ছিলোনা। আমাদের দিদিমণিদের কপালে টিপ ও সিঁথিতে সিঁদুর দেখে মনে মনে ভেবেছি -যেনো আলপথে আলতা রঙ ছুঁয়ে সূর্য এসে কপাল ছুঁয়ে গেছে।
কত সুন্দর করেইনা তাঁরা পড়াতেন। সামনা সামনি দুটো স্কুল কৃষ্ণ কুমারী অপর্ণা চরণ। একটা গেটে বেড়িয়েছি।কোনো ভাগাভাগি ছিলোনা। আজ দুটো গেট, শিফ্ট বেড়েছে স্টুডেন্ট বেড়েছে।তবু একটা গেট যখন দুটো গেট হলো।হু হু করে কান্না এসেছে।

আমার অসূর্যম্পশ্যা মাকে যখন কলেজে পড়ার সময়বলেছি রাজা লক্ষ্মণ সেনের জন্মের সময় তাঁর মায়ের ত্যাগের ঘটনাটা -এক জ্যোতিষী বলেছেন একদিন পর জন্মালে সন্তানের মঙ্গল হবে তাই রাজা লক্ষ্মণ সেনের মা একদিন দুপা বন্ধ করে প্রসব বেদনা সহ্য করে পরদিন সন্তান জন্ম দেন। শুনে মা অঝোরধারায় কেঁদেছিলেন।মার সাথে সাথে আমি ও কেঁদেছি। ব্যাচের স্যার কে বলেছিলাম কথাটা।
আমার এক সনাতন বন্ধু ব্যাচে আসেনি বলে পরবর্তীতে আমি আশুরারা শরবত নিয়েগিয়েছিলাম সব বন্ধুর জন্য। স্যার সেকথা উল্লেখ করার সময় মার কথাটাও বলেছেন।
মা দিবসে সেলিব্রিটি একজন তাঁর মার সাথে ছবি দিয়েছেন। সম্মান জনক কথা না লিখে। কমেন্ট করছেন কেউ বাজে করে। কি হয়েছে আসলে মানুষের। যে যে পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে সে তো সে পরিবারের সবার মতই ধর্ম পালন করবে। পোশাক আশাক পড়বে। সনাতন হলে সিঁদুর টিপ দিতেই পারে।
কাউন্টার এটাকিং লেখালেখিতে সুন্দর লাগে না -এটা রাজনীতিতে চলতে পারে। আজকাল সেলিব্রিটিদের ও এসব পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিব্রতকর লাগে।
ইউটিউবে কিন্তু অবশন থাকে বিখ্যাতদের কোনো ভিডিও বা কিছুতে বাজে মন্তব্য করা যাবে না।
আমার মনে হচ্ছে ফেসবুকে সেরকম অপশনস আনলে ভালো হবে।
আমাদের দেশের কোনো শিল্পীর মাকে অপমান করা তো আমাদের মাকে অপমান করার সমান। মায়ের মুখ মলিন হলে কিছুই ভালো লাগে না।ফিরে যেতে হয় রবীন্দ্রনাথের কাছে মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন ওমা আমি নয়ন জলে ভাসি। পৃথিবীর সব মায়ের জন্য শ্রদ্ধা।

Exit mobile version