শুভেন্দু দা, তুমি সুবোধ ছিলে
সত্য ও সুন্দরে গাঁথা,
মনের বাগিচায় বিষাক্ত পোকা নাকি
নষ্ট করেছে মাথা।
ধীরে ধীরে তুমি বেড়ে উঠেছিলে
বানিয়েছ মজলিস বেশ,
কোথায় যেন অন্ত্যমিলে আজ
কাটছেনা তার রেশ।

জানতাম তুমি সদালাপী, দাদা,
শান্ত সহজ সরল,
তোমার নিঃশ্বাসে এখন অনুভব হয়
হীনতার বিষের গরল।
মঠ-মন্দিরে বেশ হয় যাওয়া- আসা
যখনি সময়ের ডাক,
পবিত্র সাজে আর মন্ত্র কিছু ছেড়ে
প্রার্থনা চলে ঠিকঠাক।

ছলনা তোমার সাধু এক মানুষ
ভাব অতি সাধারণ,
ভিতরে ভিতরে অসৎ এর সাথে
আছে ঘনিষ্ঠ আলাপন।
মুখে মুখে শুধু সততার বুলি
নীতিতেও দরদ ভালো,
কালো আঁধারে নিত্য ঢেকে দাও
সত্যের উজ্জ্বল আলো।

দেশের প্রতি আর জাতির প্রতি
ভাবখানা প্রেমে উদার,
অথচ গোপনে বিপরীতে চলে
ঠকাও সবারে বারবার।
নিয়মের ঢোল বাজিয়ে বাজিয়ে
নিয়মের করো অপকার,
অসত্য-অসাধুরে ঠাঁই অন্তরে দিয়ে
সাধুতায় জাগে হাহাকার।

অঙ্গীকার আছে মানব কল্যাণে
নিবেদিত রবে প্রাণ-মন,
নীতিহীন লোকের ঘোর হেফাজতে
ব্যস্ততা থাকে সারাক্ষণ।
ভাবছ কী দাদা? পার পেয়ে যাবে,
এমন ভদ্র মুখোশ পরে,
বড়, তাই দাদা। কেউ বলছেন কিছু,
হিসাব চলছে অগোচরে।

শুভেন্দু দা, তোমার নামের সাথেই
জড়ানো শুভ ইংগিত,
অনেক ভরসার নির্ভরতা বটে
সত্যাশ্রয়ের এক ভিত।
নীতির সাথে আর প্রতারণা করে
করোনা বিশ্বাস ভঙ্গ,
নষ্ট প্রশ্রয় আর অবিচার বিচারে
হতে পারে রঙ্গ-ভঙ্গ।