লাশের সফেদ কাপন পরিধান করে,একটি জ্যান্ত মমি কাঁধে, মৃত এই মহানগরীর সরণি বেয়ে,হেঁটে যেতে যেতে থমকে দাঁড়ালাম। স্থানুবৎ। এই পোড়ো, পরিত্যক্ত লোকালয়ে, মানুষের চিহ্নও নেই। মোড়ে কেবল কয়েকটি নেড়ি কুকুর ।ফারাও নেমেসিসের ঘোর কৃষ্ণবর্ণের সারমেয়টি আমার পিছু নেয়। ওর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিলাম। এই ধবংসোন্মুখ নগরীর আলোক ঝলোমলো ব্যস্ত বিপণিসমুদয় বেসাতির নৈমিত্তিক কোলাহলে মুখরিত ছিলো। প্রাণের উচ্ছাস ছিল ।ওগুলোর ধাতব সাটার এখন রুদ্ধ। নগরনটি কমলারাও অন্তর্হিত। পুন্ড্রবর্ধনের বিবর্ণ ইট ও ঝুরঝুরে স্তব্ধতায় আমি হেঁটে যাই। আমার আশরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে ।ভয়ে।অসহ নির্জনতায় অসাড় হয়ে পড়ে । আমি কাঁদতে চাইলাম। না,আমার অক্ষিগোলক সাহারার মতোন নির্জলা। দৌড় দিয়ে পালাতে চাইলাম। অথচ জড় প্রস্তর আমি -এক পা-ও নড়ার ক্ষমতা নেই। নুল ভিখিরির মতো নিউমার্কেটের নিকটে এসে ধীর পায়ে; থামলাম। থমকে দাঁড়ালাম। আমার চোখে আচমকা এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে পরির পাহাড়ের পাদদেশে সদ্য গজানো সুউচ্চ স্কাইস্ক্যাপার। ওই দানবীয় দালানের চুড়োয় থোকা থোকা অন্ধকার। অত:পর লকডাউনের ওই নি:সঙ্গ ও নিস্তব্ধ রাস্তা আমাকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলে।