আজ বিশাল আকাশটা অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে,
গোধূলির এক ঝলক লাল রক্তিম আলোর ছটা পড়লো আমার সারা অঙ্গে।
এ যেন ভালোবাসার রঙের সাথে রঙিন মাধুরি মিশিয়ে ছড়ানো আভা।
বারান্দার সবুজ লতানো গাছগুলো যেন রঙিন হয়ে উঠলো।
বসে আছি খানিকটা আনমনে।
কিছু চাওয়া, কিছু পাওয়া, না পাওয়ার অপূর্ণতা,
ডুবে গেলাম সেই সব ভাবনার অতল গহীনে,
ভাবনার সাথে তাই মনের সুপ্ত বাসনার দৃঢ় কথোপকথন…
সত্যি বলতে রুদ্র,
তোমার সাথে দেখা না হলে এই অবুঝ মনে জানাই হতো না…
মায়া কী? ভালোবাসার গভীরতা কত?
তোমার স্পর্শের শিহরণ কতটা মধুর,
কাছে না পাওয়ার কষ্টের ঝরা অশ্রুর বিশাল সিন্ধু,
কতটা পাহাড় সমান অভিমানে ভরা এই তৃষ্ণার্ত বুক।
আমি একা, বড্ড একা
অপূর্ণতা, শূন্যতায় ভরা এই হৃদয়ের সবখানেই।
আস্তে আস্তে ধুসর অন্ধকারে ছেয়ে গেল চারদিক,
পাখিরাও ফিরে গেছে তাদের সুখের নীড়ে।
বসে আছি আমি আনমনে খোলা আকাশ পানে চেয়ে।
গুটিকয়েক তারা উঁকি দিচ্ছে
খানিক জ্বলে আবার খানিক নিভে।
মনে হচ্ছে তারাগুলোও কেমন জানি নিষ্প্রাণ হয়ে আছে।
কিসের শূন্যতায় এই চঞ্চল মন হঠাৎ বিষাদে ভরে গেল।
চাপা কষ্টের কান্না বুকের ভেতর কেবল ব্যাথায় চিনচিন করছে।
থেমে থেমে পড়ে কষ্টের দীর্ঘশ্বাস, অজান্তেই গড়িয়ে পড়ল কয়েক ফোটা অশ্রু।
আমি তো শুধু তোমাকেই চেয়েছি, তোমাকেই খুঁজি বারেবার।
বিষন্নতায় ভরা আকাশ পানে চেয়ে কত না কিছু ভাবছি,
হেমন্তের মৃদু শীতল শিরশিরে বাতাস সারা অঙ্গে শিহরণ বাজে।
কষ্টের মাঝেও এ যেন অন্যরকম ভালোলাগা, অদ্ভুত অনুভূতি।
চোখ বুঝে স্বপ্নে হারিয়ে গেছি তোমার সেই ঠোঁটের স্পর্শে,
উন্মুক্ত বুকের সাথে মিশে জড়িয়ে ধরার আবেশে।
আমার এলোমেলো হাওয়ায় উড়ন্ত চুলের স্পর্শে,
ঘ্রাণে হারিয়ে গেলে তুমি অন্য জগতে, যেখানে পেয়েছ শুধু পরম
তৃপ্তির স্বস্তি আর দীর্ঘদিনের জমানো ভালোবাসার গভীরতা।
আজ শুধু শূন্যতার মাঝে আছি,
মনে যত স্মৃতির ছবি আঁকি
ঘন অন্ধকারে আজ সেইসব স্মৃতিগুলো কেবলই অস্পষ্ট, এলোমেলো।
অপেক্ষা, আর কত অপেক্ষা?
শুধু প্রহর গুণছি ফেরার অপেক্ষায়।
জানি তুমি আসবে,অনেক আশা নিয়ে।
তোমার সীমাহীন ভালোবাসা আমাকে খুঁজে বেড়াবে।
কিন্তু আমি থাকবো হয়তো অনেক দূরে,
সেই অচীনপূরে, যে ঠিকানায় শেষ যাত্রা হবে তোমার দিজুর,
তোমার ভালোবাসার, তোমার স্মৃতি পটে আঁকা কেবল কাল্পনিক ছবির।
আমি তারা হয়ে জ্বলবো, বৃষ্টি হয়ে ঝরবো,
ফুল হয়ে গন্ধ বিলাবো আর ছায়া হয়ে ঠিক পাশে রবো
তুমি অনুভব করবে আমায় প্রতিটা মুহূর্তে,
প্রতিটা নিশ্বাসে, জীবনের শেষ প্রান্তেও।