লাল পেড়ে সাদা শাড়ি
রজনীগন্ধার মালা খোঁপায়,
কপালে বড় গোল সিঁদুর লালের ছোঁয়া
মিষ্টি ঠোঁট দুটো লাল রঙে আঁকা,
হরিণীর মতো টানা টানা চোখের কোলে,
কালো কাজলের আঁচড় দেয়া।
হাসির ছলে গালে ছোট্ট টোলের আনাগোনা,
অপূর্ব!
সুলতানা, তুমি এতো সুন্দর কেন?
তোমার রূপের রূপালী আলোয়
আমার রাতের আকাশ জ্বল জ্বল করে ঝলছে,
এতো রূপ তোমার?
তুমি কি আমার চাঁদের কন্যা?

হাত ভরা লাল সাদা রেশমী চুড়ি
কানে সাদা পাথরের ঝুমকা,
নাকে সাত পাথরের নথ,
গলায় সাদা মতির লম্বা মালা,
মাথার সিথায় রূপার রঙের ছোট্ট টিকলি।
অপূর্ব!
সাগরিকা, তুমি এতো সুন্দর কেন?
তোমার রূপের বন্যায়,
আমি ছারখার হয়ে গেছি।
এতো রূপ তোমার?
তুমি কি আমার প্রকৃতির দুর্বারতা?

সোনার রঙের বদন খানি,
শাড়ির ভাঁজে,
লতার মতো ছিপ্ ছিপে যেন।
রূপার বিছায় জরানো কোমর খানি,
কলশীর মতো আকাঁনো যেন।
পায়ে রূপার নূপুর জোড়ার ঝুনঝুন শব্দ,
আর লাল দগ্ দগে আলতার দাগ,
চলার পথের সাহস যেন।
অপূর্ব!
অরুণিমা,তুমি এতো সুন্দর কেন?
তোমার রূপের তাপে
আমি ঝলসে গেছি।
এতো রূপ তোমার?
তুমি কি আমার বহ্নি শিখা?

প্রেম, সেতো অনির্বাণ,
প্রেম, সেতো দুর্বার,
প্রেম,সেতো বিশৃংখল,
প্রেম, সেতো বাঁধনহারা।
আর তাই—
তোমার রূপের দাহনে,
আমি জ্বলতে চাই, পুড়তে চাই।
জ্বলে পুরে ছারখার হয়ে,
শুধু তোমায় ভালোবাসতে চাই।