ক্ষণিকের জীবন,দাঁড়াও বাতাস-
শ্বাস ভরে দাও বুকের খাঁচায়, বৈরিতা করোনা প্রিয় অনিবার্য সখা!
এত অল্পতেই কেন খানা-খন্দ, এবড়ো-থেবড়ো ,
ক্ষত- বিক্ষত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যায় চন্দ্রনাথ শৃঙ্গ?
তবে আমি কেন এতো আকুল হই?
ঘর- বাড়ি, লুব্ধক ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে
সন্ন্যাস নিয়ে নির্জন অরণ্যে বাস করি!
সন্নাসী জীবন অন্য জগতের অচেনা সুরের বার্তা পাঠায় অবিরাম,
আমি কি করে বলো গেরুয়া বসন পরিহার করে
স্নান করবো কুমার পুকুরে?
আহারে, রাশিদা বানু-
বুঝলে না এই জীবনে কত যে কেঁদেছে জীবন ফেরারি একজন প্রবাসী;
খড়- কুটো,জলে ভেজা কাঁদা মাটির শীতল পাটিতে।
দু ‘চোখের গভীরে অগনন সমুদ্র কত যে টেউ তুলে,
সে নিজেও জানে না!
প্রিয় রাশিদা বানু,
তোমার চোখেও কি সাত সমুদ্র তের নদী নিত্য আসে যায় তেপান্তর পেরিয়ে দিগন্ত সীমানায়?
আমি এখন কেবলই দমের কলে বাতাস ভিক্ষা করি দু’হাতে,
মহাজনের দয়ার আরশের দরজায়!
দাঁড়াও বাতাস,দমের কল পুর্ণ কর দাও, ভালোবেসে বুকের খাঁচার ভেতর থাকো।
নিষ্ঠুর মানবী, রাশিদা বানুর মতো আমাকে ছেড়ে যেও না!