তোমাকে না দেখে কেমন করে থাকি বলো
জীবন চলে যে কুয়াশার মতো টলোমলো।
তোমার শূন্যতায় বুকের মাঝে জমে ক্ষত
চিরটা সময় তোমার প্রেমের কাছে নত।
পোড়া চোখে জল আসে নাতো কেবলই বাষ্প
তুমি বিহীন চেনা বাগানে পুড়ে যায় পুষ্প।
ফাগুনে আগুনে আহত কোকিল পরবাসী
বাঁশের বসন্তে দিন-রাত বাজে না আর বাঁশি।
আমি এখন কাঙ্গালের মতো চাতক সেজে
তোমার সাগর তীরে হাত পাতি জল খুঁজে।
তুমি কি বুঝো না জল বিহীন জীবন মৃত
পৃথিবীর সব সুধা রসে তুমি শুধু প্রীত!
আমাকে বিরান করে তোমার কি হয় সুখ?
বাঁচে প্রান দেখলে তোমার স্বর্নময়ী মুখ!
তুমি যে প্রানের দোসর প্রানেই বসবাস
কেমন করে আড়ালে থেকে করো সর্বনাশ!
তোমার নাম ধরে কাঁদি- ধুলোয় পড়ি থাকি
গোধূলি ফুরায়, সূর্য ডুবে, আলো দেয় ফাঁকি!
তোমায় ডাকি প্রিয়া বলে, তুমি থাকো অচেনা
তোমার পদচিহ্নে খুঁজি তোমারই ঠিকানা!
বাউল হলে তোমার নামে গাইতাম গান
সংসারী হলে আঁচলে বেঁধে দিতাম প্রান!
তোমার জন্য দু’কূল গেলো,কষ্ট নিদারুণ
এ জীবন হলো নষ্ট- ভষ্ট খুবই করুণ!
তুমি কাছে এসেও আসো না,পাশেও থাকো না
গোপন কুঠুরীর বন্ধ দরজাও খোলো না!
কি যে চাও,কি ভাবে চাও, কতটুকুই চাও
জানি না, কত ভাগে, কত হিসাব তুমি পাও?
আমি কেবলই শূন্য থেকে মহাশূন্য হই
তুমিতো তোমার আছো,আমার হয়েছো কই?
আমার দুক্ষে বৃক্ষ কাঁদে,কাঁদে সমুদ্র জল
তোমার বুকে প্রেম ছিল না, ছিল সব ছল!
এতো জীর্ন-শীর্ন হয়েছি আমি তোমার জন্য
এক নজর দেখলে হৃদয় হয় বরন্য।
প্রেয়সী চোখের ভেতর থাকো আলোর মতো
তোমার জন্য জ্বালাবো আকাশের তারা যতো!
আর নয় ছলা-কলা, নয়তো আড়ালে থাকা
যেভাবে থাকো,প্রতিটি শ্বাসে যেন পাই দেখা!
তুমি আমার সবুজ বৃক্ষ,তুমি ছায়াতল
প্রিয়াতমা, তুমি ছাড়া আমি নিরেট অচল!