শ্রীতমা তমাল দুজনে সমুদ্রের হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে,
বালির বুকে আঁচড়ে পড়া ঢেউয়ের ছন্দে
পায়ে পায়ে হেঁটে সাগরের তীর ঘেঁষে
অনেক দূর চলে আসলো।
দুজনে চুপচাপ কারো মুখে কথা নেই
হঠাৎ নীরবতা ভেঙে তমাল বলল
আচ্ছা শ্রীতমা বলোতো, তোমার চোখে জীবন কেমন?
একগাল হেসে শ্রীতমা বলল জীবন কেমন?
এই প্রশ্ন জটিল!

তবে হ্যাঁ আমার কাছে জীবন সুখ দুঃখের মহাকাব্য ।
যার কোনো সঠিক সংজ্ঞা নেই,
কালের বিবর্তনে একেক সময় একেক রকম ।
তমাল বলল, তবুও দেখো আমাদের ব্যস্ততার
শেষ নেই জীবনের সমীকরণ মেলাতে।
আমার কাছে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে জীবন সুন্দর
খোলা আকাশ মাথার উপর, সামনে জলরাশি
সাথে তুমি আর তোমার মায়াবী স্পর্শ।
জানি, এই মধুর ক্ষণ ক্ষণিকের,
তবুও ভালোবাসা ঠিকানা খুঁজে নিতে চায়
এইটুকু স্নেহময়তার মাঝে ।

সৈকতের ভেজা বালির নরম আদর পায়ে মেখে
সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে
এগিয়ে চলছে দুজনে,
হঠাৎ খেয়াল করল দুটি গাংচিল তাদের স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে উড়ছে আর
মাঝে মাঝে খুব কাছাকাছি এসে কি যেন কথোপকথনে মেতে উঠছে,
শ্রীতমা হেসে বলল, তমাল দেখো গাংচিলের প্রণয়
তমাল বলল দেখছি আর ভাবছি ওরা কি সুখী আহা!
তুমি আমি যদি এমন স্বাধীন জীবন পেতাম!
তবে হাওয়ায় উড়ে উড়ে আকাশের সীমানায় ভালোবাসার পসরা সাজাতাম।
জীবন সুন্দর হয়ে উঠতো প্রকৃতির মায়ায়,

সন্ধ্যার আগমনীতে সূর্যটা সাগরে নিখোঁজ হওয়ার
প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁর রক্তিম আভা ছড়িয়ে,
গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে পৃথিবী
দিনের কোলাহল থেমে রাতের একাকীত্বে
স্বপ্নাতুর হয়ে উঠছে চোখের দৃষ্টি।
শ্রীতমা তমাল এবার নীড়ে ফিরে যেতে ব্যাকুল
তমাল শ্রীতমার হাত ছুঁয়ে বলে পরের জন্মে
তুমি হবে সুনীল সাগর, আমি হবো তাঁর গভীর জল
ভালোবাসার দামে হবে দুজনের অতল অবগাহন ।