কতটুকু ব্যথায় অশ্রু ঝরে দু’চোখ জুড়ে?
কতটুকু দুঃখ পেলে নিঃশব্দে হৃদয় পোড়ে?
কতটুকু অভিমানে অনুভূতি শূন্যে ঘোরে?
কতটুকু হতাশায় আপসোসের পেয়ালায় ধোঁয়া ওড়ে?
কতটুকু নিরাশায় ইচ্ছেগুলো শ্রাবণ ধারায় ঝরে?
কতটুকু যন্ত্রণায় ভালোবাসার ভিত্ নড়ে?
কতটুকু অভিমানী মেঘের গর্জনে বুকের পাঁজর ভাঙে?
কতটুকু হুল ফুটালে অন্তর ভাসে রক্ত গাঙে?
কতটুকু রক্ত ঝরলে হৃদস্পন্দন হয় বন্ধ?
কতটুকু কাঁদলে দৃষ্টিহীন হয়ে চোখ হয় অন্ধ?
কতটুকু রাত্রি জাগলে চোখের নিচে কালশিটে দাগ হয়?
কতটুকু ভালোবাসলে প্রণয় অমর হয়ে রয়?
জানি, এমন হাজার প্রশ্নের কোনো জবাব
তোমার কাছে নেই!
নিলামে ওঠেছে যখন এ হৃদয়টা
তোমার হৃদয়ের হাটে।
হৃদয় ফেটে চৌচির হওয়া অসহ্য যন্ত্রণার
সাথে সন্ধি করি অহর্নিশ,
অনেকটা কাছে ছিলে, তবুও মন পুড়ে ভস্ম!
কোন্ অদ্ভুত সুখের নগরে পা বাড়ালে
মনের সীমানা ছেড়ে?
যতবার প্রশ্নের বাণ ছুঁড়েছি থেকেছ নীরব,
সেই মৌনতা ধাবিত করেছে আমায়
অধঃপতনের দিকে।
তবুও ছিলো জমাট বাঁধা কিছু প্রত্যাশা।
ইচ্ছেগুলো চোখের কোণে কান্না ঝরায়,
বিকেলগুলো বুকের গভীরে কষ্ট বাড়ায়।
অভিমান স্বপ্নের ডানা মেলে অনুরাগে,
সস্তা বুকের নিচে আজো এ হৃদয় জাগে।
যে প্রেম তুমি ছুঁড়ে ফেলেছিলে বত্রিশটি বছর আগে।
মনের উঠোন জুড়ে আজো সন্ধ্যা নামে তোমার আঁচলি সোহাগে।