সূর্যটা দিচ্ছে উঁকি, হয়তো এখন ভোর!
চোখে তার তখনো বীভৎস আঁধার;
নিষ্ঠুর হায়নার নখরে, আচড়ে, কামড়ে
দেহ জুড়ে অসহ্য দহন। বিচলিত মন।
জানে না সে তারা ছিলো কজন?
হয়তো বা ছজন; হিংস্র থাবার
তলে সে ছিলো বড় অসহায়া,
বিষমুখী ভোমরার হুলের আঘাতে
পেলব প্রসূণ যেমন প্রাণ হারায়,
লাঙ্গলের ফলার তীক্ষè আচঁড়ে
কর্ষিত জমির মত স্নিগ্ধ কোমল
দেহটা ক্ষত-বিক্ষত, যোনিতে
রক্ত শোনিত। মন বিচলিত।
অসাড় দেহে পড়ে রয় কখনো
চেতন কখনো বা অচেতন।
কী নাম তোমার? কী পরিচয়?
কে সে? মুখ চেন কি?
সে অবাক তাকিয়ে রয়!
মনে ভয়; চোখে বিস্ময়!
যদি বেঁচে রয়, জানে
প্রতিদিন মরতে হবে।
যদি মরে যায়
বেঁচে যাবে হায়
বুনো দানব ছয়।
এ যাবৎ কত খবর পড়েছে,
শুনেছে হাজারো ধর্ষিতার।
আজ সে নিজেই খবর পত্রিকার পাতার।
-“বয়স আঠারো, পোশাক শ্রমিক মমতা
চলন্ত বাসে কতিপয় যুবকের হাতে ধর্ষিতা।”