অফিস শেষে,
২৫শে বৈশাখের অনুষ্ঠান
ফুরোতে না ফুরোতে মধ্যরাত।
দুহাতে উপহার পাওয়া রবীন্দ্র রচনাবলী,
সজোরে ছুঁড়ে ফেলে সোফার উপরে,
এক ছুটে রান্নাঘরে সুমিত্রা ইসলাম।
অপদস্থ বাসন- কোসনে,
সংসার ধর্মের নৈপুণ্য খোঁজেন।
বলিহারী প্রসাধনী, খুলে ফেলে শোবার ঘরে
ছাব্বিশ বছরের শরীর নুয়ে আসে।
ক্লান্তি, ক্লান্তি,
মিস্টার ইসলাম জেগে ওঠেন এসময়,
মধ্যরাতের ভীষণ কামনায়,
ভীষণ, তীব্র, উত্তপ্ত তিনি।
মিসেস ইসলামের,
শরীর নুয়ে আসে উৎকণ্ঠায়,
না না না, ভীষণ ক্লান্ত বলে, প্রবল আপত্তি।
তবু কি রক্ষে আছে?
ঈশ্বরের নিজস্ব ইচ্ছে।
ছাব্বিশ বছরের তনু ছিঁড়ে খাওয়ার!
রাত কতো হলো?
মিস্টার ইসলামের শ্রান্তি এবং শান্তির গোঙানি,
কানের কাছে…
ঐশ্বরিক সুখে আপ্লুত।
ভয়ানক কষ্ট নিয়ে,
সবটুকু পরিত্যক্ত শরীরে,
নিঝুম অন্ধকার ছাদের কার্নিশে,
মুক্তি ও বন্দিত্বের সঠিক সংজ্ঞা খুঁজে ফেরেন,
নারী মুক্তি আন্দোলনের সুমিত্রা ইসলাম।