রাত্রি যখন নেমে আসে দুরন্ত মেঘের শরীরে,
গুটি গুটি আঁধারে সজনে পাতার ছায়ারা গুমরে কাঁদে
বুকের পাঁজরে।
আমি বড়ই ক্লান্ত হই।
বিষন্ন রাতের শিশ্নে জন্ম নেয় পুতুল মানব!
রোবট জীবন বড়ই কষ্টের!
আমি পাথর ভাঙা পাহাড়ের গুহায় শীতনিদ্রায় ফসিল হয়ে থাকি।
কেটে যায় অনাদিকাল। তুমি কি তার সীমানা পরিমাপ করবে না?
শরীরে শরীর ঘষে এখন আর আগুন জ্বলে না,
সবই নির্জন নিরিবিলি -ঘুমিয়ে গেছে,
তুমি অকালে বন্য থেকে শূন্য হয়ে গেলে।
শূন্য থেকে সব আধুনিকতার সৃষ্টি,
শূন্যের পর শূন্য সাজিয়ে বিজয়ের পতাকা উড়ায় যে আদিম, সে আমার পোড়া বুকের আগামী।
আমি পৃথিবীর কাছে ঋণী নই, ঋণ করেছে পৃথিবী আমার কাছে নিরন্তর।
চাঁদ ভিখারী সাজে সূর্যের কাছে ক্ষণকালের আলোর জন্য,
সূর্য ভরিয়ে দেয় চাঁদের হৃদয়।চাঁদ এমন পরিণামে পরিতৃপ্ত।
শুধু তোমার কাছে চেয়ে আমি, শূন্যহাতে ফিরে এসেছি,
ফিরে আসি বার বার।
আমি তবে কোন্ জাতের ভিখারী?