সৃষ্টিলগ্ন থেকেই সমাজপতিরা অতি সুক্ষ্ম তদারকিতে
কাঁটাতারের উঁচু প্রাচীরেই ঘিরে রেখেছে নারীর পরাধীন ভূখণ্ড
কুসংস্কারের কুহেলিকায় চলার পথটুকুও করেছে অস্পষ্ট,
মেয়ে মানুষের ফলক লেপ্টে দিয়েছে প্রতিটি নারীর ললাটে।
কিশোরী মনবিহঙ্গী ইচ্ছেগুলোতে বেঁধে দিয়েছে
অযৌক্তিক প্রথার শেকল,
রক্তচক্ষুর শাসন বারণে ভেঙে দিয়েছে নারী শিশুর
সোনা রোদ্দুরে ওড়ে বেড়ানোর স্বপ্নডানা।
তবুও নারীদের মুক্তি মিলে নি লালসার চোখ থেকে,
আজন্মই নারীদের পাশেপাশে নারীখেকো শ্বাপদের দল
গোপনে ওত পেতে থাকে!
নরপিচেরা নারীত্বের উঠোনেই বিকৃত কামনার উল্লাসে অশ্লীলতার উন্মাদনায় মাতে,
ভয়ঙ্কর বর্বরতায় করে উৎপাত!
ওদের লোলুপতা থেকে আত্মজার সম্ভ্রম বাঁচাতে
অসহায় পিতামাতার চোখ দু’টোও হয় সজাগ কাকতাড়ুয়া,
তারপরও পুরুষরূপী দু’পেয়ে পশুর পাশবিক থাবার
দানবীয় আঁচড়ে নারীদেহের ভেতরে বাইরে
হরহামেশাই হচ্ছে বিভৎস রক্তপাত!
প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ধর্ষিত হয় নারী
ধর্ষিত নারীর আর্তচিৎকারে বাতাস হয় ভারি!
আফসোস! তবুও এ সমাজ ধর্ষকের নয়, আজও ধর্ষিতার দোষই গুণে!
খুঁড়ে খুঁড়ে বের করে আনে ধর্ষিতার যাপিত অতীত
চুলচেরা বিশ্লেষণে।
কেমন ছিলো সে নারীটি চরিত্রে কিংবা স্বভাবে আচরণে!
হে ঈশ্বর! করজোড়ে করি আকুল প্রার্থনা
আর জনমে আমায় পাখি করো, নয়তো ঘাসফুলের জনম দিও…তবুও নারীজীবন দিও না।