ইচ্ছেগুলো আমার কাছে আজকে হলো জড়ো
যেমন তুমি ধরো
রাখাল ছেলের বাঁশি হবো
ছোট্ট খোকার হাসি হবো
উথাল-পাথাল হয়ে আমি ছুটবো তোমার ঘরও।
ইচ্ছেগুলো ভর দুপুরে নদী হয়ে সাঁতার কাটে
দেখো মনের মাঠে
খুকির পায়ের নূপুর হয়ে
রৌদ্র মাখা দুপুর হয়ে
বইয়ের পাতা খোলা থাকে মন থাকে না পাঠে।
ইচ্ছেগুলো পাখনা মেলে দূর আকাশের নীলে
স্বপ্ন ছড়ায় মিলে
পাল ওড়ানো নায়ের সাথে
আঁচল ঢাকা মায়ের সাথে
অনুভবে দগ্ধ করে আমায় তিলে তিলে।
ইচ্ছেগুলো দূর পাহাড়ে সবুজ ঘাসে হাসে
নিবিড় হয়ে পাশে
বাঁধলো বাসা কেমন করে?
ঠিক পাখিরা যেমন করে
দূর বনছায় তৃণ-লতা নিবিড় ভালোবাসে।
ইচ্ছেগুলো ফাঁকা মাঠে দৌড়ে করে খেলা
আমার ছেলেবেলা
সেই বিকেলের কাছে আমার
গল্প হাজার আছে আমার
গল্পগুলো আসর জমায় বসায় মিলনমেলা।
ইচ্ছেগুলো পাপড়ি মেলে মুক্ত হাওয়ার দেশে
বলে হেসে হেসে
‘ঘুমপাড়ানি মাসির মত
ঘামে ভেজা চাষির মত
আসবো আবার কল্প কথার গল্প বলা শেষে।’