সুলেখার এখন প্রাচুর্যের মাঝে বসবাস
তবু চারপাশে কেমন যেন শূন্যতা!
এত কিছুর মাঝেও বড্ড একা, বড্ড অসহায়….!
নিঃসঙ্গতার আঁধার যেন কাটে না।
বেলকনিতে বসে বৃষ্টির কান্না দেখতে দেখতে ভাবছে
একদিন আমারও তো সব ছিল- স্বামী সন্তান সংসার সব।
কিছু ধরে রাখতে পারিনি জীবনে
শুধু যশ খ্যাতি অর্থ আজ ঘিরে রেখেছে আমায়
একাকীত্বের কষ্টের তীব্র দহনে।
একদিন নিজের আত্মপরিচয় তৈরি করতে বেরিয়ে পড়লাম সব ছেড়ে।
আমি চেয়েছিলাম সংসার আর বাইরে কাজ
দুটোই সুন্দর করে গুছিয়ে চলব,
কিন্তু পারিনি।
আমার পাশে কেউ দাঁড়ায়নি
আমার চাওয়া কেউ মানতেই চায়নি
স্বামী বলল একটা বেছে নাও
হয় সংসার না হয় চাকরি?
আমি বললাম আমি দুটোই চাই।
তুমি পাশে থাকলে
আমি দুটোই ব্যালেন্স করে নিতে পারব,
তার সহজ উত্তর :
দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না সুলেখা।
শ্বশুর বলল এ বাড়ির কোনো মেয়ে বাইরে কাজ করেনি
সুতরাং তোমার ও বাইরে কাজ করা হবে না।
সুলেখার জেদ আর অভিমানও কি কম?
তাই সে সব ছেড়ে নিজেকে
প্রতিষ্ঠিত করার পথ বেছে নিল।
ঠিক আজ সে সব কিছু অর্জন করে নিয়েছে
নিজের যোগ্যতায়।
আশেপাশের শূন্যতায় বুক ভারী হয়ে আসছে
কেমন যেন অস্থির লাগছে।
কেন নারীকেই সব মূল্য দিতে হয়?
কেন নারীকেই সব ছাড়তে হয়?
উত্তর অজানা।
বৃষ্টি জলে আজ সব কষ্ট ধুয়ে নিতে চায় সুলেখা
এভাবেই না হয় হোক বেঁচে থাকা।