কর্ণফুলীর তীরে আমার শনের ছাওয়া ঘর
দখিন হাওয়া লাগলে পরে কাঁপে যে থর থর।
সেই নদীতে বেড়ায় খেলে হাজার রকম মাছ
দুই পাড়ে তার লক্ লকিয়ে আকাশ ছোঁয়া গাছ।
ছুটির দিনে ইচ্ছে করে গ্রামের বাড়ি যেতে
ভোর সকালে মায়ের হাতে পান্তা ইলিশ খেতে।
পুঁই কিংবা পালং শাকে ইলিশ মাছের ঝোল
বর্ষাকালে খেতে মজা মুড়ির সাথে ঘোল।
ইসকুলে আর মন বসেনা শুধুই লেখাপড়া
বীজগণিতের অংকগুলো নিরস তিতে কড়া।
পোড়া মাটির ইটের বাড়ি লম্বা টুলের সারি
গাদা গাদা নোট বইয়ের গন্ধে বাতাস ভারি।
তাইতো আমার ভালো লাগে গ্রামের কাদা মাটি
মাঠের তাজা ফসল যেন সোনার চেয়ে খাঁটি।
ঝিম ধরা নিম গাছের নীচে অলস দুপুর কাটে
আমার গ্রামের শান্তি যেন নেই কোন তল্লাটে।
কখন জানি আসবে ছুটি ভাবছি অবিরত
হোস্টেলের এই জীবন যেন বন্দীশালার মত।
হঠাৎ যদি সপ্তাহ গুলো পিছন দিকে ঘুরে
আমার প্রিয় গ্রামের বাড়ি ছুটবো ‘অচিনপুরে’।