১. প্রিয় রমনী
ঊনিশ সেকেন্ডে জীবনের অদেখা একটা অনুজীব
সারা পৃথিবীর মানব সমাজ,
বিজ্ঞানের শাসন – ভাসন অবজ্ঞা করেই-
কী নিমর্মভাব সব তন্ত্র- মন্ত্র তছনছ করে দিচ্ছে,
তা তো ভাবাই যায় না!
আর তুমি তার চেয়েও অধিক জীবনের অধিকারী হয়ে,
বিজ্ঞানের সকল কৌশলকে পদদলিত করে,
আমার পঞ্চাশ বছরের জীবনকে কী পরিমাণ
কী নিষ্ঠুরতায় আপন খেয়ালে ছিন্ন-ভিন্ন করেছো,
তা কি কখনো একবারও ভেবেছো, প্রিয় রমনী!
২. আত্ম বয়ান
কী নিদারুণ অভিমানে আমি পাথর হয়েছি
প্রিয়তম ভালোবাসাও তা জানলো না!
বাউল হয়ে জন্মেও ভুল করে আজীবন সংসারে থেকেছি;
আউলা- বাউলা হয়েছি,সংসারীও হয়েছি
পথ আর ঘরের ভুল মন্ত্রে কেবল ক্ষত- বিক্ষত হয়েছি!
নারীকে ভালোবেসে আমি পুরুষ হতে চেয়েছি
পুরুষকে বিশ্বাস করে চরম বিশ্বাসী;
তবুও নাস্তিকতার নিষ্ঠুর গুল্ম লতাটা
আজন্ম আমাকে চরমভাবে বেঁধে রেখেছে!
এ জীবনে এত কষ্ট, এত অভিমান
কেবল ঈশ্বর জানেন, আর জানে যাপিত সময়,
শুধু আমি জানলাম না;
কেমন করে ভুলে ভুলে যোগ না হয়ে
কেবল বিয়োগ হয়!