কুমার পুকুর পাড়ে, বাঁশ বাগানের সরু পথে–
আমি আকাশের পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে গিয়েছি,
কিন্তু পুকুর জলের স্নানঘাটে আমি তোমাকে দেখে ফেলেছি,
কি যে সর্বনাশ হলো বলোতো?
আমি কি এখন আকাশ দেখবো নাকি স্নানঘাটের জল দেখবো?
চাঁদ কোথায়, আমার চোখ থেমে যাই তোমার ঐ
জলে ভেজা থির থির করে কাঁপা মুখের উপর।
আকাশের সকল জোছনার আলো আজ কুমার পুকুরের জলে।
আহারে, কি নির্লজ্জ ভাবে ঐ মায়াবী মুখের ভেতর হেরে গেছে পৃথিবীর দাম্ভিক চাঁদ!
আমি চাঁদের জোছনা মাখতে গিয়ে, তোমার রূপ ছুঁয়ে দিয়েছি,
যৌবন খেকো চোখের কারসাজিতে তোমার রূপময়ী তেপান্তর চেটে-পুটে খেয়ে ফেলেছি।
আমার চারিদিকে আজ প্রকৃতি অন্ধকারে অবরুদ্ধ করে রেখেছে,
অথচ ঐ কুমার পুকুরের স্নানঘাটের জলে অালোর উৎসব বয়ে যাচ্ছে।
আহা,কি যে ভাগ্য, ঐ সব অবুঝ উম্মাদ জলের!
আমার কেবল ভয়, আকন্ঠ আড়ষ্টতা,
কি যে সর্বনাশের ক্ষণ, যদি তুমি জোছনা লুকিয়ে, আঁচলে মুড়িয়ে অবগুন্ঠিত হয়ে যাও?
কেন যে চোরা চোখ লোভাতুর মনের সাথে সমন্ধ করে, তোমার চাঁদ দেখে, জোছনা দেখে,
আকাশ দেখে,প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা ভেজা মানচিত্র দেখে,
তোমার হাত,পা,বুকের ভেতর সুগন্ধী সাবান মাখার ভূগোল দেখে,সত্যি এটা কি অসভ্যতা নয়?
কি যে সর্বনাশ বলো তো, রূপের আগুনে যার চোখ পুড়ে যায়, সেতো অন্ধ হবেই!
কি করে এমন হলো? পাড়া- পড়শী জানলে কলংক হবে।
যত সুখ ঐ কুমার পুকুর স্নান ঘাটের জলেরই হলো,
তোমার অঙ্গে অঙ্গে, দারুণ রঙ্গে রঙ্গে, রূপের সঙ্গে সঙ্গে,
সে যে জড়িয়ে জড়িয়ে,গড়িয়ে গড়িয়ে,
ভিজিয়ে ভিজিয়ে রয়েই গেলো।
আর আমার কি যে সর্বনাশ হলো,পৃথিবীর সব আলো নিভে গেলো,
শুধু তুমি চাঁদের মতো জোছনা নিয়ে আমার
চোখের ভিতর নেচে নেচে রাতের পর রাত স্নান করো।