কেঁচো হয়েই জন্মেছি না কেঁচো হয়ে উঠছি, প্রশ্নটা র‍য়েই যায়! এই মনে হয় খুলে গেছি সটান, পরমূহুর্তেই দেখি কুণ্ডলী পাঁকিয়ে ঢুকে আছি নিজের ভেতর। যেন সমস্ত পৃথিবী থেকে আড়াল চাইছে গুটিয়ে যাওয়া শরীরটা। ব্যাপারটা এমন, নিজের চোখ বুজলেই যেন দেখছে না আর কেউই। আর যতবারই সাহস করেছি, হতে চেয়েছি প্রতিবাদী, নামতে চেয়েছি প্রকাশ্যে, ততবারই কুঁকড়ে গেছি নিজের ভেতর!

এ কেঁচো স্বভাবে, অনর্থক জীবন বয়ে বেড়ানোর চাইতে ‘মৃত্যুই মহৎ’ ভেবে, গিয়েছি মৃত্যুর সামনেও বহুবার—সাহস হয়নি; মৃত্যুও দেয়নি সৌজন্য সাক্ষাৎ! পলায়নপর একটা ঘিনঘিনে শরীর নিয়ে এই যে বেঁচে থাকা গুটি পাঁকিয়ে, এই যে পিঠে করে কবর বয়ে চলা…

কোথাও যেন মানাচ্ছে না এ শরীর—না সন্ন্যাসে, না সংসারে; না নির্জনে, না মিছিলে। এ না-মানুষী শরীরটা কখন যে কেঁচো হয়ে উঠলো কিংবা কেঁচোটাই শরীর—এ প্রশ্নও রয়েই গেল!