বুকের ভিতর হু-হু ঝড় !
চিম্বুক পাহাড় সটান দাঁড়িয়ে আছে পাঁজরে
ঘুমন্ত শরীরের মত ভারী শ্লেষ্মার মেঘ জমেছে ফুসফুসে।
ভোর হতে মৃতদের মিছিল দেখি
শবের মৌন মিছিল
শুনি নিস্তব্ধতার হাহাকার
শোক-সান্ত্বনা মিলেমিশে একাকার।
এমন যন্ত্রণা ব্যথিত না করুক কাউকে
গভীর দুঃখবোধ কুড়েকুড়ে নিঃশেষ করে আমাকে।
ফিরে যাব একদিন
জীবন আশ্রিত ঋজু শরীর ফেলে
দেখব না বীভৎস পৃথিবীর রূপ দুচোখ মেলে।
আঙ্গুলের কড়ে হিসেব করি রোজ–একটা দুটো
বাঁচার তাগিদে আঁকড়ে ধরে জীবনের খড়কুটো।
দেখি মৃত্যুদূত বেরি পড়ায় ঋষিবালকের পায়ে;
অগ্নিশিখা জড়িয়ে ধরে আদুড় গায়ে।
ভয়াবহতার এত গল্প!
জীবনের ইতিটানার গল্পের সাথে মিলে যায় যদি;
আমিও হব সেদিন জীবন বহতা এক নদী।