শ্রমিক:
জীর্ণ বস্ত্র পরনেতে কালি ঝুলি মাখা,
আননে বিষাদের ছায়া যেন মসি আঁকা ।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় যার নিয়ম নৈমিত্তিক
স্ত্রী পুত্র উপোস করে যার সে হলো শ্রমিক।
কৃষক:
রোগ জ্বালায় ক্ষতদেহ যেন হাড্ডিসার
দেনার দায়ে পীড়ন করে ব্যাটা জমিদার ।
সদাই পীড়িত রোগে, আছে জীর্ণ চালাখানি
অভাব জড়িয়েছে যারে তারে কৃষক বলে জানি ।
কুলি:
বোঝার ভারে ন্যুজ্ব দেহ আর বাবু সাব পিছনে
চলিতে পারেনা আর তবু টানে প্রাণপনে।
দেড় মণি বস্তা এক পিঠে দেয় তুলি
সাব হেঁকে কন, “তাড়াতাড়ি কর, কুলির বাচ্চা কুলি”।
মজুর:
রাস্তায় ইট ভাঙ্গে বা কভু চালায় ঠেলা
বাবু সাবগণ যাদের প্রাণ নিয়ে করে খেলা ।
দিবসের অবসানে, পায় সামান্য টাকা
এ দিয়ে চালায় সে ভাঙ্গা সংসারের চাকা।
রাজাকার:
একাত্তুরে মোদের ভাইদের করেছিল যারা খুন
সেই ঘৃণ্য পাকহানাদারদের গেয়েছিল যারা গুণ
টুপি পড়ে এখন ধর্মের বোল শোনায় যারা
চিনতে যেন ভুল করোনা, রাজাকার তারা ।
শোষক:
গোঁফেতে তা দেয় আর আছে মস্ত পেট
গলায় ঝুলায় টাঁই, মাথায় পরে হ্যাট ।
কোট, প্যান্ট, চশমা পরে চালায় মোটরগাড়ি
ব্যাংকেতে টাকা তার আছে কাড়িকাড়ি।
গরিবের রক্ত চুষে শুধু গতরটা বাড়ায়
বিদেশী সিগারেট ফুকেন শোষক মশাই।