Site icon Shaili Tv

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনসহ খোয়া যাওয়া সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত দুপুর দেড়টায় কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে জানানো হবে।-বাংলানিউজ
এদিকে যোগাযোগ করা হলে র‌্যাব-১ এর সিও শাফি বুলবুল বলেন, গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে ওই ব্যক্তির ছবি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে দেখানো হয়। ছবি দেখে তিনি ওই ব্যক্তিকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেন। আমরা যাকে ধরেছি তার সামনের দুটি দাঁত নেই- যা ছাত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে মিলেছে।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। এরপর ওই ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান সহপাঠীরা।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদ ও ধর্ষকের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সবকটি ইউনিট অপরাধীকে ধরতে একযোগে কাজ শুরু করে।

এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এ মুহূর্তে পুলিশের অগ্রাধিকারের তালিকায় এক নম্বরে আছে ধর্ষণের এই মামলার তদন্ত। পুলিশের সব কটি ইউনিট কাজ করছে।

পরে মঙ্গলবার দিনগত রাতে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে র‌্যাবের নজরদারিতে রয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারই (৭ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা।

এদিকে মামলার এজাহার মঙ্গলবার ঢাকার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন।

Exit mobile version