আজকের দিনটা একেবারে অন্যরকম।
সকাল থেকেই সারা আকাশ কালো মেঘের কুন্ডলিতে ঢাকা।
ক্ষণে ক্ষণে বাজছে গুরু গুরু ধ্বনিতে মেঘের মৃদঙ্গ।
মেঘের লুকোচুরি খেলাতে সকাল গড়িয়ে এখন মধ্য দুপুর।
শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। ছোট্ট বারান্দায় এসে
দাঁড়িয়ে উপভোগ করছি এক অপার্থিব দৃশ্য।
অঝোর বৃষ্টির জলের ছোঁয়ায় লতানো
গাছের পাতায় পাতায় জেগেছে রুপোলি শিহরণ।
রুক্ষতার মালিন্য মুছে দিয়ে স্নিগ্ধতায় ভরে গেল চারপাশ।
অতীত স্মৃতিগুলো একের পর এক ভেসে উঠছে মানসপটে।
আমি উদাস নয়নে জলপতনের দৃশ্য দেখছি আর ভাবছি তোমার কথা।
হঠাৎ ফোনের রিং বেজে উঠল।
অপর প্রান্ত থেকে প্রিয়’র প্রশ্ন,
” এমন বৃষ্টি ভেজা দিনে তুমি কোথায় গো?
উত্তরে বললাম,
আছি তো নীরবে লুকিয়ে তোমারই হৃদয়ের মণিকোঠায়।
শ্রাবণের অঝোর বৃষ্টিতে
কদম্ব নিয়ে এসো আমার দরজায়,
দিবো ভরিয়ে চুম্বনে চুম্বনে তোমার লোমশ বুকে, ওষ্ঠ জোড়ায়, কপোলে।
তুমি শিহরিত, কম্পিত কণ্ঠে বলছো আমায়,
আরও আরও ভরিয়ে দাও তোমার মায়াবী ভালোবাসায়।
আমি তৃপ্ত হই, আমি প্লাবিত হই,
আর মুক্ত হই দীর্ঘ কষ্টের যন্ত্রণা থেকে।
তুমি তৃপ্ত করো নিজেকে আলিঙ্গনে, মিলনের পূর্ণতায়।
তাই আমি বিলিয়ে দিলাম তোমার মাঝে আমাকে,
আমার সর্বস্ব ভালোবাসা দিয়ে।
তুমি শুধু ভালোবাসবে আমায়।
আমি আছি, আমি আজও আছি,
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল হয়ে।
নুয়ে পড়েছি তোমার আকুল ভালোবাসার অঝোর বৃষ্টির ঝর্না ধারায়।
আমি অভিভূত, আমি আপ্লুত শুধু তোমারই মায়ায়।