মুখমন্ডল রাজ্যে মাথার পর্বত চুড়ো ললাট মালভূমি সিঁড়ি-ধাপ শেষে,
অক্ষিকোটর সাগরে ভাসে একজোড়া হংস-হংসী চোখ। মনের আধারে ফোটে,
যায় কতদিকে ভাবে। চতুষ্পাঠী সংসার টোলে নিজের চোখের পাঠে
দেখি পড়ি মানুষের চোখ।
চোখের ভেতরে এক নয়ন আয়না, জীবত্কালে দেখে ত্রিকাল,
রাঙা চক্ষুসে রং-রুপ – চরিত্র খোঁজে না, পড়তে চেষ্টা করে মনুষ্য হস্তরেখা- শিরা।
উদ্যানে শুদ্ধ প্রেম চকিত চাহনি, প্রসন্ন স্নেহপূর্ণ নজর। পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি
বন্ধুর মেয়ের দিকে – সাম্প্রতিক ও ইতিহাসে।
চক্ষু সাম্রাজ্যে আঁকা সূর্য সোনালি, ষোলকলা চাঁদ, পাখির উড়াল, ফুল দোল,
জীবনের ছবি, ঝোপের আড়ালে ‘চোখ গেল’ রব।
আয়ত্বে আসে না কেবল শিশুর বিস্ময় চোখ – প্রতিদিন নতুন অভিধান।
মুদিত নেত্রে কার দর্শন পায় ত্যাগী স্থিতপ্রজ্ঞ!
বেঁচে থাক্ অন্ধজনে আলোর তারা মঙল মানবিক চোখ।