এখানে চৈত্রের রোদ, ক্ষুধার আগুন-
পোষাকের উৎকট ভ্যাপসা গন্ধ মাড়িয়ে
গা থেকে ভেসে আসে ধানের ঘ্রাণ।
পবিত্র ঝুলিতে ইবলিশ জমা করে মৃত্যু
শব্দের জোচ্চুরি, হাহাকার, আর্তনাদ ভুলে
তবু বিশ্বাস-
আমি-তুমি যেন মুখোশ পরা এক চেনা ধ্যানী বক।
এখানে মেঘের মাদল নাচে
সূর্য ডুবে গেছে কালের গর্ভে,
ক’টা হাড়ে ঈশ্বর শ্রেণীবিন্যাস করেছে উঁচু-নিচু,
এখানে নুন-জলের হিসাব কড়া।
অতঃপর-
সেখানে মাটির ঘ্রাণ, ধানের ঘ্রাণ
মৃত শরীরের পাশে শুয়ে থাকে দীর্ঘরাত।
সেখানে শুধুই খরা
ফাটা ফাটা দাগ
গুলিবিদ্ধ বুকের বাঁ পাশ, ছোপ ছোপ রক্ত।
সেখানে শিথিল শরীর
নিত্য চলে দুঃস্বপ্ন আর হতাশার
এক চৌকস সঙ্গম।