বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
শুধুমাত্র একটি নাম নয়,
তিনি একটি ইতিহাস
তিনি স্বাধীনতার মুক্তি সংগ্রামের অকুতোভয় এক লড়াকু বীর,
তিনি বাঙালি জাতির অগ্নি পুরুষ।
টেকনাফ হতে তেঁতুলিয়া
আজও বজ্র কন্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় সেই নাম
তিনি আর কেউ নন,
তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আমি লিখতে গিয়েও লিখতে পারিনি,
আমি বলতে গিয়েও বারবার স্তম্বিত হয়,
এই কষ্ট,এই বেদনা,এই লজ্জা,এই হারানো শোক
কোন সে সাগরে জমা রাখি।
১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট
বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অন্ধকারতম,লজ্জাজনক কালো অধ্যায়;
যে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন,
মুক্তির আলো দেখিয়েছিলেন,
সেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে ভোরের আলো ফোটার আগেই
কিছু স্বার্থন্বেষী,ষড়যন্ত্রকারী বিপথগামী সেনা সদস্যরা নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করেছিল,
তারা শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি,
ঘাতকরা স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর সবাইকে হত্যা করেছিল,
কি নির্মমতা,কি বর্বরতা বাঙালির ইতিহাসে,
এ লজ্জা কোথায় রাখি?
এই কষ্ট, এই বুক ফাটা আর্তনাদ কোথায় চাপা দেই?
নারী শিশু কেউই রেহাই পায়নি এই হায়নাদের হাত থেকে সেদিন,
ছোট্ট শিশুর রাসেল,কি দোষ ছিল তার?
প্রিয় মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য সে কি আকুতি তার,
সে বারবার বলছিল;
“আমি মায়ের কাছে যাব”
সেও রক্ষা পেল না সেই হায়নাদের হাত থেকে,
কতটা হিংস্র তারা।
ধানমন্ডির সেই ৩২ নম্বর বাড়িটির শেষ নির্মমতার শিকার হয়েছিল ছোট্ট শিশু রাসেল।
প্রিয় সংগ্রামী বঙ্গবন্ধুর নিথর দেহ পড়ে আছে সিঁড়ির মাঝে,
ভাবা যায়?
স্বপ্নময় জীবনের পথপ্রদর্শক কে আমরা হারিয়েছি।
বঙ্গবন্ধুর মত এমন মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা আমরা আর দ্বিতীয়টি কখনোই পাবো না।
আজও যার বজ্র কন্ঠ উদ্দীপ্ত করে বাঙালি জাতিকে,
অদম্য সাহস যোগায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে,
বঙ্গবন্ধুরকে হারানো শোক
আমাদের শোকে নয় শক্তিতে পরিণত হোক সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে।
পরিশেষে বলবো;
প্রিয় বঙ্গবন্ধু তোমায় আমরা ভুলিনি
ভুলবোনা কোনদিন,
তুমি থেকে যাবে চির অম্লান
বাঙালির বুকে চিরদিন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,
তুমি আমাদের প্রিয় বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান।