শফিউদ্দিন মাস্টার এই নামেই সবাই চিনতো তাকে..
অ আ ক খ কিংবা ১ ২ ৩ ৪ লিখতে দিলেই
কান্না জুড়ে দিতাম..
তখন ভাবতাম এসব কি? কেন শিখবো?
কিন্তু পিলে চমকানো এক ধমকেই গড়গড়িয়ে লিখা চললো..
তাঁর কাছে যে কত সহজেই ঋণী হয়ে গেলাম বুঝতে পারিনি..
তারপর বাল্যশিক্ষা বলে দিলো কত নীতিকথা
তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে পড়তে পড়তে আমারো মনে সাধ হতো
আহা! আমিও যদি উড়তে পারতাম..
এই শব্দ গুলো বাংলা শব্দ গুলো যে একান্তই আমাদের
জানা ছিলোনা তখনো।
সেই ছড়া কবিতা পড়ে পড়ে আমার মন যখন উদাস চোখে
মুক্ত আকাশে উড়তে চাইতো
সে শব্দ সে অক্ষর সব রক্ত দিয়ে কেনা..
জানা ছিলোনা…
কত মায়ের বুক খালি করে
বাংলা আমার মুখের ভাষা হলো
মায়ের ভাষা লুটেরাদের হাত থেকে রক্ষা পেলোৃ
আমার প্রথম চিঠি মায়ের কাছে বাবার কাছে
আমার কত চিঠি বন্ধুর কাছে,প্রেমিকের কাছে আমার বরের কাছেৃ.
সেই শব্দ বর্ণ যা দিয়ে আমার মনের কথা গুলো মাধুরীমাখা ভালোবাসায় সাজানো
সেই বর্ণ সেই শব্দ সব আমি পেয়েছি রক্তের বিনিময়ে
সালাম বরকত রফিক আসাদের রক্তের বিনিময়ে
আমি ঋণি আমার মায়ের কাছে
শফিউদ্দিন স্যারের কাছে
সালাম,বরকত জব্বার আসাদের কাছেৃ
ঋণী ৫২র কাছে..
এই ঋণ শোধের শক্তি আমার নেইৃ
প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে তাই কৃতজ্ঞ আমি..
আমার বাংলা ভাষা,আমার গৌরব আর অহংকারের ভাষা..