ফরিদপুরের গোপালগঞ্জে টুঙ্গীপাড়া গ্রাম
বঙ্গভূমে শৌর্য জন্ম গর্বিত মুজিবুর নাম।
গীমাডাঙ্গা বিদ্যালয়ে শিক্ষার সূচনা,
কৈশরেতে দীক্ষা সেবার
দয়াশীল চেতনা।
দু:খিত তাপিত দগ্ধ জনতার বিদিত দু:খ কথা,
দুর্দশায় জাগে দু:সহ কষ্ট
মনে নিদারুণ ব্যথা।
পরের হিতে তৃপ্তি গভীর, পরের কারণে উদার
কাঙ্গালি জীবনে ব্যথা বিতাড়নে
নির্ভরতা সবার।
সুনীল শোভায় বঙ্গ আকাশে উদিত বাঙ্গালী বীর,
অন্যায় আর অনাচার রোধে
নত নাহি কভূ শির।
যৌবনে শুরু সংগ্রামী দিন
বাঁকে বাঁকে আন্দোলন,
শাসনের নামে পশ্চিমাদের নগ্ন নির্যাতন।
আপোষ বিহীন দৃঢ় সংকল্প
শোষণ যবে প্রকট,
চৌকশ মেধায় উদ্যমে চলে
রহিতে কালের সংকট।
৬৯ এর অভ্যুত্তানে জনতার জাগরণ,
বিরোধ বিবাদে সফল নেতার
৭০ এর নির্বাচন।
পাক হিংস্রতার নগ্ন পরশ
যবে প্রকাশিল আচরণে,
বীর জনতা রুখে দাঁড়াল মার্চের ভাষণে।
একাত্তরে মুক্তিসংগ্রাম, দেশের পতাকা স্বাধীন,
মুজিব বীরের বীরত্বে আজ
সোনার বাংলার সুদিন।
চুয়ান্ন বছর জীবন কালে, চৌদ্দ বছর কারাগার,
আঠার বার জেলে আনাগোনা
ফাঁসির মঞ্চে দু’বার।
শোষণের রোধে তীব্র বিবাদে,
শোষিত বাংলার জয়,
ঘাতকের আঘাতে মৃত্যুতেও মুজিব
রইবে অমর অক্ষয়।