বেলা তুমি কি আমায় শুনতে পাও? কোথায় তুমি?
কেমন আছো সময়ের কাঁটা নিয়ে
আমি কতদিন ধরে খুঁজে ফিরেছি বিন্দু মাত্র কোথাও দেখিনি তোমায়
পাও নি বুঝি অবসর!

আমার তো অজস্র তাড়া এক চিমটি ফুরসৎ নেই
দু’ চারটে নয় হাজার হাজার আলো নিভে যাওয়া চোখের কান্না
মনের গভীরে বয়ে বেড়ানো দিন আর রাত ভর।
যেন চৈত্রের খরা লেগেছে বেঁচে থাকার জমিনে
খাঁ খাঁ করছে সবখানে আকুতি মিনতি খড় খুটো যা পাই
আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার সকলের জাতি, বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে
ফরিয়াদ একই সবার জীবন ভিক্ষার

“আল্লাহ ক্ষমা করো ক্ষমা করো মোচন করে দাও পাপ যত আমাদের” !
বেলা -বেলা-বেলা
আমায় শুনতে পাচ্ছো তুমি?
আমি তো ভেবেছি তুমি গেছো সূর্যের কাছে মেঘের আড়ালে
পৃথিবীর সন্নিকটে কোন গ্রহের সাথে এক অদৃশ্য উপায়ের খুঁজে গিয়েছো তুমি
নিয়েছিলাম বুঝে
লম্বা দীর্ঘশ্বাস নিমগ্ন
উদাসী আশ্বাস —
আমি তো আছি তোমাদের মাঝে সময় অসময়ে কাজের ফাঁকে
সবখানে সুখে আর দুঃখে
তুমি একটু দেখো চোখ টা মেলে দেখো পাবে আমায় তুমি কাছে আছি তোমারি পাশে
এখন বড়ড় বেশি চোখে কম দেখি জান তো-
ইদানীং!
সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হয়,
পড়তে হয় চোখের জ্যোতিটাও একটু ঝাপসা
কেন জানি চোখের নোনা পানিতে মরিচা পড়েছে
চোখ দুটোতে আর বুকের ভিতর কষ্টের দানা বেঁধেছে ।

ঝাঁপসা দেখা যায়
জীবনের সব অলি গলি -কেন বেলা? বলতে পারো তো?

চারিদিকে হাহাকার
প্রিয়জন হারানোর ব্যথা
অজানা ভয় মুচড়ে মুচড়ে কাতরাচ্ছে ।

সকলের মনো বল এর পাঝর অকেজো প্রায়,
মায়ের কান্না বোনের কান্না প্রিয়তমার দীর্ঘ শ্বাস
নিরাশার ব্যানজনা বিষাদময় যন্ত্রণা ।

করোনা নামক এই ঘাতকের নির্মূলের দিন তারিখ কবে? কখন?

বিশ্বাস ভর করেছে বিমুখ বিমুটে করোনা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে না প্রকৃতি কাছ থেকে।

নীরব উৎকণ্ঠা উপহাস করছে খিল খিল করে হাসছে অসহায়ত্ব।

জমজমাট হাসপাতালে সীটগুলি আর বারান্দায় অলি গলি।

মানুষের চালিকা শক্তি নিমজ্জিত ক্রমশ,
অভাব অনটনের ঘনবসতি এখন এখানে ওখানে।

না খেয়ে কতদিন থাকবে মানুষ!
না ঘুমিয়ে কতদিন জাগবে মানুষ!

পৃথিবী শুধু আজ কাঁদছে অঝোর ধারায়
চারিদিকে শুধু ঝরে পড়ছে এক একটা নক্ষত্র,
আপনজন দূরের ও কাছের চেনা অচেনা প্রিয়জন।