এ আঙুল কখনও দেখেনি ছুঁয়ে গাঙশালিকের বুকে লেগে থাকা জল
ছোঁয়নি আঙুরলতা, দূর-বিকেলের রোদ, মোরগফুলের মিহি স্ত্রীকেশর
সুউচ্চ পাহাড় থেকে আশ্চর্য দ্রুততায় নেমে আসা জুম্ম-বালিকার বেণী
যে বেণীতে গোঁজা বুনোফুল, বুনোহাঁস বুকের কোরকে
কোন দূর পুর্বজনমের পুণ্যফল, চকিতা হরিণীটির কস্তুরী-নাভি ছুঁয়েও দেখিনি
এ আঙুল দেখেনি ছুঁয়ে একবারও, ইজিয়ান সাগর পাড়ি দেয়া জাহাজের
পালের লবণ, প্রদোষের নির্মলতা, মুক্তোসম্ভবা ঝিনুকের পোয়াতি গতর
কমলালেবুর ফুলে উড়ে আসা প্রজাপতির পাখায় চকচকে কাঁচাসোনা রঙ
জিপসী নর্তকীর তারকাখচিত চওড়া নিতম্ববন্ধনী, একপাশে ঝুলে থাকা
ছুরির ঝিলিক, তার সাতনরী হার, সম্মোহনী পাথরটিকে ছুঁইনি কখনো
এ আঙুল ছোঁয়নি কখনো সৈকতে, ভরা পূর্ণিমায় বরফিকাটা জোছনার ফুল
অন্ধকারে ঢেউএর কোরাস থেকে ফিনকি দেয়া রূপারঙ তরল আগুন
আরব্যরজনীর গল্প থেকে ছেঁকে নেয়া গুপ্তধনের নকশা আর
শঙ্খচূড়ের নীল ডিম, নীল অপরাজিতার সুকোমল পাপড়িটি ছুঁতেও পারিনি
ছুঁইনি সরস্বতীর বীণা, লক্ষ্মীর সম্পন্ন ভাঁড়ার, অমরাবতীর নীল জল
আমার আক্ষেপ নেই, অনুতাপ নেই
আকন্ঠ তৃষ্ণায় শুধু আমার সকল নিয়ে, শেষ পারানির কড়ি তোমাকে ছুঁয়েছি