মানুষ কেমন করে লাশ হয়ে যায়?
খুলে গেছে কি আজ স্বর্গমর্ত্যরে সবকটি দ্বার
ভেঙ্গেছে কি ইয়াজুজ মাজুজের অরুণাচল লৌহপ্রাচীর,
কোথায় জুলকারনাইন?
গড়ে দিবে অভেদ্য প্রাচীর জীবন-মৃত্যুর মাঝে।
কোটি কোটি জীবাণুরা নিঃশব্দে সঞ্চারে
বাদুড় পাখায় নামে আঁধারের প্রখর প্রহর
অর্ধমৃত বিধ্বস্ত শহরে মৃত্যু নীল আলো
লাশে লাশে ভরে ওঠে পৃথিবীর থরোথরো বুক।
শৃগালের চোখে জ্বলে জ্বলজ্বল চিতার আগুন
গোরস্থানের পাঁজরে তাজা তাজা লাশ
বাতাসের শূন্য চোখে জলহীন মরু হাহাকার
মরণের ভোজ সেরে সূর্য ফিরে অদৃশ্য খাঁচায়।
যাঁরা আছে মর্ত্যলোকে, কাঁপে রুদ্ধশ্বাসে তাঁরাও কি আছে বেঁচে?
জীবনের স্বপ্ন রিপু প্রতিদিন গিলে খায় বুভুক্ষু জীবাণু
ডুবে যাই ভেসে উঠি শোকাতুর অবশ অসাড় স্তব্ধতায়।
রাতদিন বন্দী অন্ধকার খিল তোলা দ্বারে, নিজস্ব গুহায়
আকাশটা ভাঁজ হয়ে পড়ে থাকে বুকের খাঁচায়।
ঘুমঘোরে জেগেওঠা স্বপ্নরা দেয়ালে মাথা ঠুকে
আবার ফিরেছে ক্লান্ত চাদরের ভাঁজে
মানুষ আর মৃত্যুরা এক সাথে পাশাপাশি বালিশে ঘুমায়।