সূর্য জ্বালায় আলোর রাশি, পালায় যখন রাত
আলতো চুমে ঘুম ছুটে যায়, মাথায় স্নেহের হাত।
কে চুমু দেয়, কে বিছানায়, হাত দু’খানা কার?
বুঝতে পারি-আর কারো নয় আমারই আম্মার।

অসীম মায়ায় স্নেহের ছায়ায় দুচোখ মেলি যেই-
কষ্ট বাড়ে বুকে, কারণ আমার তো মা নেই।

আমি যখন ইশকুলে যাই একলা হেঁটে হেঁটে-
ঝড়-বৃষ্টি রৌদ্র-তাপে সময় কেটে কেটে,
তখন আমার হাত ধরে কেউ সাহস জোগায় বুকে
‘নির্ভাবনায় শির তুলে যাও এগিয়ে সম্মুখে’।

কে সে এমন হেসে বেড়ায়? সে আছে অন্তরে
মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে।

দুপুর যখন রোদের জরি গা’য় মাখিয়ে হাসে
ছুটির ঘন্টা শুনেই ছুটি বাড়িতে উল্লাসে।
এসেই দেখি শান্ত-বাড়ি, নেই কোনো হইচই-
টেবিল জুড়ে খাবারগুলো করছে যে থই থই।
নেই যে মায়ের খবরদারি, হারাই আমি খেই
উথলে ওঠে ব্যথা কারণ, আমার তো মা নেই।

বিকেল শেষে সন্ধ্যা আসে সন্ধ্যা শেষে রাত
বুকের ভেতর হয় প্রতিদিন দুখের বৃষ্টিপাত।
ঐ আকাশে চাঁদ জাগছে, তারাও ঝাঁকে ঝাঁকে
একলা ঘরে চাঁদ-তারাতে খুঁজতে থাকি মাকে।

মায়ের ছোঁয়ায় দোয়ার সঙ্গে এগুতে চাই যেই
কষ্টব্যথায় কাতর আমি, আমার তো মা নেই।

[স্কেচ কৃতজ্ঞতা : কাইয়ুম চৌধুরী]