১. ফিরে আসি মানুষের মাঝে

সূর্যের ললাটে চুম্বন এঁকে
রৌদ্রের সাথে করি বাস
মেঘের ছায়ায় গুছিয়ে রাখি
জীবনের অভিলাষ।
হামাগুড়ি দিয়ে ছুঁয়ে যায়
চাঁদ জল-জোছনা রাতে
নগ্ন পায়ে চলেছি হেঁটে
শিশির ভেজা প্রাতে।
পাখির ঠোঁটে খড়ের বুনন
শিখি বারবার
ডাল ভাঙা গাছে সবুজ পত্রে
নীড় বাঁধি একলা আবার।
কোথাও কেউ ছিল একদিন
ভরা গাঙে উজানে
পলি পড়ে গেছে চর জেগেছে
আজিকে ভাটির টানে।
চরের বসতি করেছে তারা
যারা গায় জীবনের গান
তপ্ত বালিতে নিয়তির রেখা মুছে
জাগায় সবুজ প্রাণ।
মানুষ হারাবে পাখিদের কূজন
ভরাবে হরিৎ প্রান্তর
মৃত্যুও সেদিন হবে নতজানু
দেখে মানুষের সু-অন্তর।
মানুষই পারে জেগে উঠে
আবার নব নব রূপে জাগাতে
চুরমার করে ভেঙে নিয়তি
জয়টীকা এঁকে নিতে ।
বারবার তাই মানুষ হতে সাধ জাগে
জনমে জনমে…
মানুষই জ্বালায় আশার আলো নিভৃতে মরমে।
মানুষের মাঝে রয়ে যাই তাই চন্দ্রভূক আবেশে
ভালোবাসি বলে আসি ফিরে ফিরে মানুষের পরশে।

২.ফুরাবো বলে জন্মাইনি

সব আলো নিভে গেলে তবুও রয়ে যাবো
রয়ে যাবো প্রাণে প্রাণে আলো জ্বেলে ।
রয়ে যাবো দীপশিখা হয়ে ঘোর অন্ধকারে
টিমটিম করে জ্বলবে জেনো আশার আলো
দিকহারা নাবিকের মত চিনে নেবো পথ,
ভিড়াবো জাহাজ পাড়ে।
আমি হারাতে আসি নি
আসিনি হারতে–
বিপুল নক্ষত্রের আলোতে
খুঁজে নিও আমার প্রাণ
জেনে নিও এখনো নাচছে আমার ধমনী
আমি আজও ফুরোয় নি কিংবা
ফুরাবো বলে কখনো জন্মাইনি।