রাতগুলো ভীষণ কষ্টের হয়, ভীষণ মন খারাপ করা হয়!
কেন হয়, কেউ জানে না তো! কিচ্ছুটি জানে না!
জানতে চায় ও না!
কিন্তু রাতগুলোই ভীষণ কষ্টের হয়, ভীষণ মন খারাপ করা হয়!
পাড়ার মোড়ের শিউলিতলায় মালা গেঁথে নিয়ে অপেক্ষায় থাকত যখন একমুঠো সুখেরা,
যেগুলো প্রেম হয়ে হয়ে ঝরে পড়ত আকাশের গা বেয়ে;
অস্পষ্ট রাতেই তো পোড়াতে থাকে সবচেয়ে বেশি সেই লিটমাস পেপারের মতো চকমকে দিনগুলো!
তাই তো রাতগুলো ভীষণরকমের কষ্টের হয়, ভীষণ মন খারাপ করা হয়!
সে বার হাত থেকে গড়িয়ে গ্লাস ভেঙে পায়ের তলায় পড়ে একটুখানি পা টা কেটে গিয়েছিল বলে
তা দেখে তোমার চোখে ওমনি জল চলে এল,
তুমি পড়ি কী মরি করে আমায় কোলে তুলে নিয়ে দৌঁড়ে চললে পাশের হাসপাতালে, এতটাই আবেগে আতঙ্কিত ছিলে তুমি-
তোমার পা দুখানায় স্যান্ডেল গলাতেও ভুলে গিয়েছিলে, যা দেখে সিস্টাররা হাসাহাসি করছিল;
আর আমার এমন লজ্জা লাগছিল না!
ঘুটঘুটে রাতেই তো মনে পড়ে সে সমস্ত অপ্রকাশ্যগুলো!
তাই তো রাতগুলো ভীষণরকমের কষ্টের হয়, ভীষণ মন খারাপ করা হয়!
কৈশোর থেকে ভালোবেসে হৃদয়বাক্সে একজনার নাম জপতে থাকা সেই প্রেমিকের ঘরনী না হয়ে হঠাৎ করে কালবোশেখি ঝড়ের মতো একদম অচেনা-অজানা-অপরিজ্ঞাত একজনের ঘরনী হয়ে যাওয়ার কষ্টটা তো রাতেই জেঁকে ধরে বেশি!
তাই তো রাতগুলো ভীষণরকমেরই কষ্টের হয়, ভীষণ মন খারাপ করা হয়!
কিন্তু এ রাতগুলো থেকে কোনোও মুক্তির আবির ছড়ায় না কখনোই!
এ রাতগুলো থেকে ডুব দেওয়ার কোনোও পথও থাকে না একদমই!
তাই তো একটি রাত থেকে পালাতে চাইলেই আবার আরেকটি রাত এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে
চক্ষুযুগলের কাছে!
মানসবাগানের মাঝে!